সাড়ে ৭ হাজার বেকারের কর্মসংস্থান হবে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে

শিক্ষা মন্ত্রণালয়কারিগরি ও কর্মমুখী শিক্ষাকে আরও এগিয়ে নিতে দেশের ১০০ উপজেলায় নির্মিত হচ্ছে ১০০ টেকনিক্যাল স্কুল।  প্রতিটি স্কুলে ৭৫ জন শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হবে। সব মিলিয়ে সাড়ে সাত হাজার বেকারের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে এসব প্রতিষ্ঠানে। টেকনিক্যাল শিক্ষায় শিক্ষিত হবে দেশের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়,  ‘১০০টি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ স্থাপন’ প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৯২৪ কোটি টাকা। আর এর অর্থায়ন করবে সরকারি তহবিল। দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে প্রতিটি স্কুলে ৮৪০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। এসব স্কুলে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সমসাময়িক কিছু বিষয় খোলা হবে।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়। এর প্রায় একবছর পর স্কুলের জন্য ১০০ উপজেলায় জমি অধিগ্রহণ কাজ শুরু করা হয়। এ পর্যন্ত ৯৪টি উপজেলায় জমি অধিগ্রহণ কাজ শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে ওইসব এলাকায় ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে। প্রতিটি স্কুলের জন্য ৫তলা ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে প্রতিটির জন্য ব্যয় হবে ১৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। এরই মধ্যে ৩টি স্কুলের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে সব উপজেলায় ভবন নির্মাণ কাজ শেষ করা হবে।

জানা গেছে, এসব ভোকেশনাল স্কুলে চাহিদাসম্পন্ন ডিপ্লোমা ও শর্ট কোর্স মেয়াদে নতুন কিছু বিষয় চালু করা হবে। তার মধ্যে পেপার প্রোডাকশন, রেডিক্যাল এনার্জি, ফুড প্রসেসিং অ্যান্ড কোয়ালিটি কন্ট্রোল, টেক্সটাইল ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং, নিটিং অ্যান্ড ডায়িং, উড ওয়াকিং, হিটিং ভোন্টিলেটি অ্যান্ড ইয়ারকান্ডিশন, জুয়েলারিসহ প্রায় ২০টি নতুন বিষয় চালু করা হবে।

প্রকল্প কর্মকর্তারা জানান, প্রকল্প থেকে গত মাসের শেষের সপ্তাহে শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারী পদসৃজনের প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে এই সপ্তাহে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। জনপ্রশাসন থেকে অনুমোদন দিলে তা অর্থমন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সেখান থেকে অনুমোদন হলে কারিগরি অধিদফতর থেকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মধ্যমে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করা হবে। তবে যেসব উপজেলায় ভবন তৈরি কাজ শেষ হবে সেসব স্কুলে পর্যায়ক্রমে নিয়োগ দেওয়া হবে বলেও জানান তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পিযুষ কান্তি নাথ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে তিনটি স্কুলের কাজ প্রায় শেষ। এগুলোতে কিছু দিনের মধ্যেই শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে দেশের যেসব উপজেলায় টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ নেই অথবা সরকারি ভোকেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ও সরকারি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার নেই, সেসব উপজেলা থেকে নির্বাচিত ১০০টি উপজেলায় এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’