সংশ্লিষ্টরা জানান, ফেবার ক্যাসেলের বেশির ভাগ পণ্য শিশুরা ব্যবহার করে। যে কারণে এসব পণ্য তৈরির উপাদান ব্যবহারে সতর্ক থাকা হয়। অথচ নকল ফেবার ক্যাসেল পেনসিলগুলো পরীক্ষা করে দেখা গেছে, এগুলো শিশুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। প্রকৃত ফেবার ক্যাসেল পেনসিলে পরিবেশবান্ধব ওয়াটার বেজড বার্নিশ ব্যবহার করা হয়। যা শিশুদের জন্য ক্ষতিকর নয়। ফেবার ক্যাসেল রঙ পেনসিলে শাকসবজি এবং ফলমূল থেকে সংগৃহীত রঞ্জক কণা ব্যবহার করা হয়। যা বিষমুক্ত হওয়ার কারণে শিশুদের জন্য ক্ষতিকর নয়। এছাড়াও পেনসিলের লিড মজবুত করার জন্য প্রাকৃতিক মোম ব্যবহার করা হয়। ফেবার ক্যাসেল তাদের পণ্যে ব্যবহৃত কাঠ নিজস্ব বাগান থেকে সংগ্রহ করে। ফেবার ক্যাসেল ইরেজারে কখনই শিশুদের ক্ষতিকর উপাদান ব্যবহার করা হয় না। ফেবার ক্যাসেল তাদের সব প্লাস্টিক জাতীয় পণ্যে ফুড গ্রেড প্লাস্টিক ব্যবহার করে, যেটি শিশুদের শরীরের জন্য নিরাপদ।
বাংলাদেশে ফেবার ক্যাসেলের একমাত্র পরিবেশক ‘গ্লোবাল অফিস অটোমেশন লিমিটেড’। বাংলাদেশে এই পণ্য পরিবেশ বান্ধব কিনা, তার মান যাছাই করে বিএসটিই ইতোমধ্যে সার্টিফিকেট দিয়েছে। ফেবার ক্যাসেল তাদের ট্রেডমার্ক লোগো ব্যবহার করে সারা পৃথিবীতে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। ফেবার ক্যাসেলের পণ্যের মধ্যে রয়েছে– পেনসিল, কালার পেনসিল, ইরেজার, শার্পনার, মার্কার, বোর্ড মার্কার, হাইলাইট মার্কার, অঙ্কন সামগ্রী, জ্যামিতিবক্স এবং বিভিন্ন অফিস স্টেশনারি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও নিউ মার্কেট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিলন মিয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মামলাটি দায়েরের পর তারা তিনজন আসামিকে গ্রেফতার ও আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে ওইসব আসামি জামিনে রয়েছেন বলে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে।’
মামলার তদন্তকাজ অব্যাহত আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের আরও নকল পণ্য বিক্রি হচ্ছে কিনা সেটাও তারা খতিয়ে দেখছেন। তদন্ত শেষে খুব শিগগিরই আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।’