মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) কুড়িগ্রামের রৌমারী ও রাজিবপুরে মিড-ডে মিল কার্যক্রম উদ্বোধন করা হবে বলে জানান সচিব। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝরে পড়া রোধ, ক্লাসে ছাত্রছাত্রী ধরে রাখা এবং শিক্ষার মান বাড়াতে সব শিক্ষার্থীকে দুপুরের খাবার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০২৩ সালের মধ্যে সারাদেশের স্কুলগুলোকে এ কর্মসূচির আওতায় আনা হবে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ‘জাতীয় স্কুল মিল নীতিমালা-২০১৯’ -এর খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সূত্রমতে, দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং প্রকল্পটি ২০১০ সালে শুধু গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলায় শুরু করা হয়েছিল। বর্তমানে ১০৪টি উপজেলায় ২৮ লাখ ৭৫ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রতি স্কুল দিবসে উপস্থিতির ভিত্তিতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে দৈনিক ৭৫ গ্রাম ফর্টিফাইড বিস্কুট সরবরাহ কার্যক্রম চলমান আছে। পরবর্তীতে শুধু বিস্কুট নয়, একদিন অন্তর অন্তর রান্না করা খাবার ও উচ্চ পুষ্টিমান সমৃদ্ধ বিস্কুট দেশের ১৬টি উপজেলার ৪০০ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল মিল কার্যক্রম শুরু করা হয়। এরপর মুজিববর্ষ উপলক্ষে গত ৭ জানুয়ারি গোপালগঞ্জ ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ৩৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিল কার্যক্রম চালু করা হয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন মিড-ডে মিল কার্যকম উদ্বোধন করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ১১৬টি বিদ্যালয়ের মধ্যে অবশিষ্ট ৪টি বিদ্যালয়ে এবং রাজীবপুর উপজেলার ৫৮টি বিদ্যালয়ের মধ্যে অবশিষ্ট ২৫টি বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিল কার্যক্রম চালু করা হবে। প্রতিমন্ত্রী এই কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন মঙ্গলবার। এই দুটি উপজেলায় ৩১ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে অবশিষ্ট প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষার্থী মিড-ডে মিলের আওতায় আসবে। আর এ মাসেই আরও কয়েকটি জেলায় মিড-ডে মিল কার্যক্রম উদ্বোধন করা হবে। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২১-২০২২ অর্থবছর থেকে পর্যায়ক্রমে প্রাথমিকের সব শিক্ষার্থীকে মিড-ডে মিল কার্যক্রমের আওতায় আনতে স্কুল ফিডিং প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে খসড়া ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা) প্রণয়ন করা হয়েছে।