করোনাকালে ডিপিই’র ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরপ্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বহিরাগত অতিথিদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা রক্ষায় নিরাপদ পরিবেশে ভবনের ভেতরেই দুটি সততা স্টোর চালু করা হয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাইরে গিয়ে অনিরাপদ পরিবেশে চা-নাস্তা করা থেকে বিরত রাখতে এবং বহিরাগত অতিথিদের নিরাপদ পরিবেশে আপ্যায়নের জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। করোনা পরবর্তী নিও নরমাল পরিস্থিতিতেও এই স্টোর চালু রাখা হবে।
জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ্ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঘন ঘন বাইরে গিয়ে চা নাস্তা করে ফিরে আসার ক্ষেত্রে করোনার ঝুঁকি তৈরি হবে। সে কারণে দুটি সততা স্টোর চালু করা হয়েছে।  কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অতিথি যারা আসবেন তাদেরও বাইরে গিয়ে চা-নাস্তা করতে হবে না। শীতের সময় পিঠাসহ সংরক্ষণ করা সহজ এমন খাদ্যদ্রব্য সুলভ মূল্যে বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সততা স্টোর চালু করা হয়েছে।’ সততা স্টোরের জায়গায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়নি বলে জানান মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ্।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অধিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ভবনের তিন তলায় একটি এবং নিচ তলায় একটি সততা স্টোর করা হয়। কিন্তু করোনার কারণে সরকারি ছুটি দফায় দফায় বাড়ানো হলে সততা স্টোর চালু করা সম্ভব হয়নি। পরে অফিস খুললে মহাপরিচালক নিজের উদ্যোগে দুটি সততা স্টোর করার ব্যবস্থা নেন। নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে অতিথিদের বসার ব্যবস্থা নিতে সোফা রাখা হয়েছে সততা স্টোরের পাশে। সেখানে বসে চা, কফি, বিস্কুট-চানাচুরসহ হালকা নাস্তা করার ব্যবস্থা রাখা হয়। আর সততা স্টোর হওয়ার কারণে অধিদফতরে আসা লোকজনও বেশ স্বস্তির মধ্যে কাটাতে পারছেন সততা স্টোরে বসে।

1

রবিবার চট্টগ্রাম থেকে আসা অতিথি সুজিত সাহা জানান, জরুরি প্রয়োজনে এসে সততা স্টোর পেয়ে বেশ ভালো লাগছে। সরকারি অফিসগুলোতে এভাবে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে সততা স্টোর করা হলে করোনা মহামারির সময় মানুষ নিরাপদে চা-নাস্তা করতে পারবে। মাত্র দশ টাকা যে কফি দেওয়া হচ্ছে তা বাইরে ২০ টাকাতেও পাওয়া যাবে না। তাছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে খাওয়ার সুযোগও নেই বাইরে।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অধিদফতরের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আগে কোনও অতিথি আসলে চা অফার করার সুযোগ ছিল না। এখন নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চা-কফিসহ হালকা নাস্তা করাতে পারছি। আর আমাদেরও ঝুঁকি নিয়ে বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হচ্ছে না। সময়ও কম লাগছে, ফলে অফিসের কাজে ফাঁকি দেওয়ার সুযোগও কমে গেছে।’

2