এইচএসসি পরীক্ষা ছাড়া মূল্যায়নের কথাও ভাবা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিআসন্ন শীতকালে করোনা সেকেন্ড ওয়েভ আসতে পারে। যাতে করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এমন শঙ্কার কথা প্রকাশ করে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। এরমধ্যে করোনার কারণে স্থগিত এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। যে কারণে পরীক্ষা ছাড়াও মূল্যায়নের কথা ভাবা হচ্ছে।
বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে অনলাইন মতবিনিয়ম সভায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, শীতে করোনার সেকেন্ড ওয়েব আসতে পারে, সেটিও আমরা মাথায় রেখেছি। কেউ কেউ পরীক্ষা ছাড়াই মূল্যায়ন চাইছেন। আমরা সেটিও নাকচ করছি না। কারণ, সব চেষ্টার পরও পরীক্ষা নেওয়া না গেলে আমাদের শিক্ষার্থীরা কি এগিয়ে যাবে না? সেক্ষেত্রে পরীক্ষা ছাড়া মূল্যায়নের সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে, আমাদের সেটিও ভাবতে হবে।’
এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার সব প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। কারণ, পরীক্ষার আগ মুহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে। আমাদের প্রশ্নও তৈরি আছে। কিন্তু ১৪ লাখ পরীক্ষার্থীর সঙ্গে একজন করে অভিভাবক কেন্দ্রে গেলেও শিক্ষকসহ ২৫ থেকে ৩০ লাখ লোকের সম্পৃক্ততা থাকে। যারা অধিকাংশই গণপরিবহন ব্যবহার করবেন। সেজন্য আমরা এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, এইচএসসির বিষয়ে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় সবকিছু আমরা ঠিক করেছি। আগামী সোম বা মঙ্গলবারের মধ্যে পরিপূর্ণ পরিকল্পনা তারিখসহ ঘোষণা করতে পারবো। কতটুকু পরীক্ষা নেবো, কী পদ্ধতিতে নেবো সেটি সেদিন জানাতে পারবো। তবে পরীক্ষাদের আমরা অন্তত চার সপ্তাহ সময় দেবো। চেষ্টা করবো দ্রুততম সময়ের মধ্যে কত নাম্বারের মধ্যে পরীক্ষা নিয়ে এটি সম্পন্ন করতে পারি। আর জেএসসি পরীক্ষার ফলাফলও আমরা মূল্যায়নে নিয়ে আসতে পারি।
তিনি আরও বলেন, সকল প্রস্তাবনা নিয়েই সোম বা মঙ্গলবার আবার সবার সামনে আসবো। কিন্তু আমাদের পরীক্ষা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সবাই যেন দুশ্চিন্তা ছাড়া পরীক্ষা দিতে পারে সেদিকে আমরা লক্ষ রাখছি। আর যারা পরীক্ষা দিতে পারবেন না তাদের কীভাবে মূল্যায়ন করা হবে, সেটি সোম-মঙ্গলবার জানাবো।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান সংযুক্ত ছিলেন।