মাধ্যমিকে সংশোধিত ভর্তি নীতিমালা জারি

শিক্ষা মন্ত্রণালয়২০২১ শিক্ষাবর্ষে রাজধানীসহ সারাদেশে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা জারি করেছে সরকার। নীতিমালা অনুযায়ী প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে। প্রথম শ্রেণিতে ৬ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের ভর্তি করতে হবে। সেই হিসেবে ধরে দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এই নীতিমালা জারি করে।
মহানগরী, বিভাগীয় শহর ও জেলা সদরের সকল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন আবেদনের ফি নেওয়া এবং ফলাফল অনলাইনে প্রকাশ করতে হবে। উপজেলা সদরে অবস্থিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো কেন্দ্রীয় অনলাইন পদ্ধতির মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করবে। তবে নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কোনও কারণে এ কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব না হলে কেবল উপজেলার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে তা ম্যানুয়ালি করতে হবে।
ভর্তির আবেদন ফরম বিদ্যালয়ে পাওয়া যাবে এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর/জেলা প্রশাসক/সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট (যদি থাকে) থেকে ডাউনলোড করা যাবে।
ভর্তির আবেদন ফরম বিতরণ ও জমার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে সুস্পষ্টভাবে তারিখ ও সময় উল্লেখ করতে হবে। তবে আবেদন ফরম বিতরণ ও জমার জন্য ন্যূনতম সাত কার্যদিবস সময় দিতে হবে।
আবেদন ফরমের নির্ধারিত স্থানে পরীক্ষার্থীর দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি আঠা দিয়ে সংযুক্ত করতে হবে। আবেদন ফরম জমা দেওয়া দেওয়ার সময় ফরমের নিচের অংশ রোল নম্বর দিয়ে প্রবেশ হিসেবে শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে। ওপরের অংশ এক বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সংরক্ষণ করতে হবে।
ভর্তির জন্য আবেদন ফরমের দাম ১৭০ টাকা, সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২০১৪ সালের পরিপত্র অনুযায়ী আদায় করা যাবে।
ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য সুষ্ঠু আসন বিন্যাস ও পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা থাকতে হবে। যথাসম্ভব সাপ্তাহিক ছুটির দিন পরীক্ষা নিতে হবে।
ষষ্ট শ্রেণিতে ভর্তির জন্য মোট আসনের ১০ শতাংশ কোটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। ঢাকা মহানগরীর সরকারি বিদ্যালয় সংলগ্ন ক্যাচমেন্ট এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য ৪০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করতে হবে। অবশিষ্ট ৬০ শতাংশ সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা এবং পত্র-কন্যা পাওয়া না গেলে পুত্র-কন্যার পুত্র-কন্যাদের ভর্তির জন্য ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা কোটা নির্ধারণের ক্ষেত্রে ভর্তির সময় মূল কপি প্রদর্শন করতে হবে। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মূল ধারায় সম্পৃক্ত করতে ন্যূনতম যোগ্যতা থাকার শর্তে ভর্তির ক্ষেত্রে ২ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করতে হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তান এবং সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীদের সন্তানদের ক্ষেত্রে ২ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করতে হবে। প্রার্থী পাওয়া না গেলে সাধারণ প্রার্থীদের মাধ্যমে তা পূরণ করতে হবে। প্রথম শ্রেণিতে আসন সংখ্যার চেয়ে বেশি হলে লটারির মাধ্যমে চূড়ান্ত করতে হবে।