ঈদের আগেই পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা ও জাতীয়করণের দাবি

ঈদের আগেই বৈষম্য দূর করে পূর্ণাঙ্গ ঈদ বোনাসের (উৎসব ভাতা) দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরাম। একইসঙ্গে অনার্স-স্তরের শিক্ষকদের এমপিওভুক্তিসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবি জানানো হয়েছে। বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিবৃতির মাধ্যমে এসব দাবি জানায় শিক্ষক সংগঠনটি।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরামের মুখপাত্র মো. নজরুল ইসলাম রনি এবং বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় মহাসচিব মো. মেজবাহুল ইসলাম প্রিন্সের এক যৌথ বিবৃতিতে এসব দাবি জানানো হয়। এতে বলা হয়, অবিলম্বে ২৫ শতাংশের পরিবর্তে পূর্ণাঙ্গ ঈদ বোনাসসহ শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ ঘোষণা করতে হবে। দীর্ঘ ১৭ বছরেও ঈদ বোনাসের কোনও পরিবর্তন নেই।

শিক্ষক নেতা মো. নজরুল ইসলাম রনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা ৫০ শতাংশ ঈদ বোনাস পান। অথচ শিক্ষকরা ঈদ বোনাস পান ২৫ শতাংশ। এছাড়া সরকারি প্রতিষ্ঠানে শতভাগ ঈদ বোনাস দেওয়া হলেও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তা দেওয়া হয় না। আমরা দীর্ঘদিন থেকে বিষয়টি সরকারের নজরে আনার চেষ্টা করছি।

বিবৃতিতে আর জানানো হয়, করোনার এই দুঃসময়ে প্রায় ১১ মাস ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অভিভাবকরা টিউশন ফি দিচ্ছে না। ফলে বেসরকারি শিক্ষকরা তাদের বেতন বা সম্মানীর প্রতিষ্ঠানের অংশ পাচ্ছেন না। এতে তাদের অর্থনৈতিক সংকট চরম পর্যায়ে। অভিভাবকরাও করোনায় এই দুঃসময়ে অর্থনৈতিক সমস্যায় তাদের সন্তানদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি করাতে পাচ্ছেন না। তাই শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি এখন জোরালো হচ্ছে।

একইসঙ্গে অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তিসহ বদলি প্রথা চালুর দারি জানান তারা।