শিক্ষা খাতে জাতীয় বাজেটের ২৫ শতাংশ বরাদ্দের দাবি ছাত্র ইউনিয়নের

শিক্ষা খাতে জাতীয় বাজেটের ২৫ শতাংশ বরাদ্দের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ছাত্র ইউনিয়ন। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন নিশ্চিত করতে বৃত্তি প্রদান, সকল শিক্ষার্থীর ভ্যাকসিন ও হেলথ কার্ড নিশ্চিত করা, আবাসন সংকট নিরসন করা ও অবিলম্বের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার রোডম্যাপ ঘোষণা করার দাবি জানায় সংগঠনটি।

আজ বুধবার (২ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ সমাবেশ করে ছাত্র সংগঠনটি। এর আগে তারা একটি মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করেন।

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ বলেন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাখাতে জাতীয় বাজেটের ২৫ শতাংশ বরাদ্দের দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু সরকার ছাত্রদের স্বার্থের কথা না ভেবে ব্যবসায়ীদের স্বার্থ হাসিলে ব্যস্ত। শিক্ষা খাতে প্রণোদনা দেয়ার কথা উঠলে তারা তা না দিয়ে ব্যবসা খাতে শত শত কোটি টাকা প্রণোদনা দেয়। এরপরও পোশাক শ্রমিকরা ঠিকমতো পারিশ্রমিক পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি।

তিনি বলেন, আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংগঠনগুলার মাঝে সহবস্থান নেই। গতকাল টিএসসিতে ছাত্রদলের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা তা স্পষ্ট করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হল বন্ধ রেখেই পরীক্ষা নেয়ার কথা বললেও ছাত্রলীগ জহুরুল হক হলে অবস্থান করে দখলদারিত্বের কার্যক্রম চলাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে তাদের ভ্যাকসিন প্রদান করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হল খুলে দেয়ারও দাবি জানান ফয়েজ উল্লাহ।

সমাবেশের সঞ্চালকের বক্তব্যে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল বলেন, অবিলম্বে স্বাস্থসেবা নিশ্চিত করে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। অন্যথায় শিক্ষার্থীরা ক্লাস রুমের তালা ভেঙে ক্লাসে প্রবেশ করবে।

সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সদস্য মুক্ত রজায়ান, ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা মহানগর সংসদের সদস্য সালমান রাহাত, ছাত্র ইউনিয়ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আসমানি আশা প্রমুখ। এসময় ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমাইয়া সেতু, কোষাধ্যক্ষ শামীম হাসান, স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক প্রিতম ফকিরসহ সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।