পরীক্ষা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ঢাবি প্রশাসন

হল বন্ধ রেখে সশরীরে চলমান বর্ষগুলোর পরীক্ষা ১ জুলাই থেকে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে থাকায় পরীক্ষা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ঢাবি কর্তৃপক্ষ।

ইতোমধ্যে হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরীক্ষার রুটিন দিয়ে তা আবার স্থগিত করা হয়েছে। মনোবিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষা অনলাইনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে পরীক্ষা তারিখ পেছানো হয়েছে। পরীক্ষাও নেওয়া হবে সশরীরে।

শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট ৭ জুলাই পরীক্ষা নেওয়ার নোটিশ  দিয়েছিল। তা আবার পিছিয়ে আগস্টে নেওয়া হয়েছে। লেদার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তাত্ত্বিক পরীক্ষা পিছিয়ে নেওয়া হয়েছে আগস্টে, তবে ব্যবহারিক পরীক্ষা নেওয়া হবে জুলাইয়ে।

বিভিন্ন বিভাগের এমন সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন। দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ ফাহাদ বলেন, কিছু কিছু বিভাগ পরীক্ষার নোটিশ দিয়ে আবার পিছিয়েছে, স্থগিত করেছে। এমতাবস্থায় পরীক্ষা হবে কিনা তাও বুঝতে পারছিনা।  যদি পরীক্ষা তাহলে ঢাকায় গিয়ে মেসের ব্যবস্থা করতে হবে। তা করতেও একটা সময় দরকার। হঠাৎ করে গিয়ে তো আর মেস পাব। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পেছানো আর স্থগিতের সিদ্ধান্ত দেখে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছি।

সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সকল ক্লাস প্রতিনিধিদের সঙ্গে মিটিং আছে, তাদের সঙ্গে কথা বলে সকল শিক্ষার্থীদের অবস্থান সম্পর্কে অবহিত হবো। তবে পরীক্ষা অনলাইনে নাকি অফলাইনে হবে সেটা করোনা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে। ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের ৬৮ শতাংশ ঢাকায় শনাক্ত হয়েছে। আমাদের সীমান্তবর্তী অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের এই করোনাকালে ঢাকায় এসে সুস্থভাবে পরীক্ষা দিতে হবে, আবার সুস্থভাবে ফিরতে হবে, অনেক প্রক্রিয়া আছে।  সেক্ষেত্রে আমরা পরীক্ষার তারিখ দিতেই পারি, রুটিনও হতে পারে। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে পরীক্ষাগুলো সম্পন্ন হবে।

উপ-উপাচার্য ( শিক্ষা) মাকসুদ কামাল বলেন,  আমরা একাডেমিক কাউন্সিল থেকে সকল বিভাগকে স্বাধীনতা দিয়ে দিয়েছি। বিষয়টি সম্পূর্ণ তাদের ইচ্ছাধীন।

করোনাকালে কিভাবে পরীক্ষা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একাডেমিক কাউন্সিল থেকে স্ব স্ব বিভাগ ও অনুষদকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারা তাদের মতো করে পরীক্ষা নিতে পারবে। অফলাইনে কিংবা অনলাইনে।

শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মালেক বলেন, আমাদের অনার্স লেভেলে চারটি ব্যাচ আছে, সেক্ষেত্রে চূড়ান্ত বর্ষ থেকে শুরু করে ক্রমান্বয়ে আমরা পরীক্ষা নেবো।

করোনা পরিস্থিতিতে পরীক্ষা কিভাবে নেওয়া হবে-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত এলে আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো।

করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় পরীক্ষা হবে কিনা জানতে চাইলে ইঞ্জিনিয়ারিং  অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ‘বিষয়টি উপাচার্য মহোদয়ই ভালো জানেন।’