বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে আশুলিয়ায় ছয় জনকে হত্যার পর লাশ পোড়ানোর ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক এমপি সাইফুল ইসলামসহ ১৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে এই মামলায় পলাতক সাইফুল ইসলামসহ আট আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
বুধবার (২ জুলাই) চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ আদেশ দেন।
এর আগে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আশুলিয়ায় ছয় জনকে হত্যার পর লাশ পোড়ানোর মামলার ট্রাইব্যুনালে ১৭৩ পৃষ্টার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন।
গত ২৪ জুন জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আশুলিয়ায় ছয় জনকে হত্যার পর লাশ পোড়ানোর মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের জন্য ২ জুলাই দিন নির্ধারণ করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ দেন।
আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন সাইমুম রেজা তালুকদার।
এ বিষয়ে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আশুলিয়ায় ছয় লাশ পোড়ানোর মামলার তদন্ত প্রতিবেদন গত ১৯ জুন জমা দিয়েছে তদন্ত সংস্থা। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের জন্য আমরা এক সপ্তাহ সময় চেয়েছি। এ ঘটনায় ১৬ জনের সম্পৃক্ততা মিলেছে তদন্ত প্রতিবেদনে। এর মধ্যে সাত জন গ্রেফতার রয়েছেন।
এর মধ্যে রয়েছেন– ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আব্দুল্লাহিল কাফী, ঢাকা জেলা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলাম, তৎকালীন ওসি এএফএম সায়েদ, ডিবি পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন, এসআই মালেক ও কনস্টেবল মুকুল।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সাভারের আশুলিয়ায় পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান ছয় তরুণ। এরপর পুলিশ ভ্যানে তাদের লাশ তুলে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। নৃশংস এ ঘটনার সময় একজন জীবিত ছিলেন। কিন্তু তাকেও বাঁচতে দেননি তারা। পেট্রোল ঢেলে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়। এ ঘটনায় ১১ সেপ্টেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হয়।