নীরবতায় শততম বছর পার করলো ঢাবি ক্যাম্পাস

ঠিক শত বছর আগের ১ জুলাই প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় । হাটি হাটি পা পা করে পেরিয়ে গেলো ১০০টি বছর। তাতে হওয়ার কথা ছিল বর্ণিল আয়োজন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে তা সম্ভব হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আগেই জানিয়েছিল সশরীরে কোনও অনুষ্ঠান হবে না। শুধু অনলাইনে প্রতীকী আয়োজন হিসেবে আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। আয়োজন ছাড়াও কেউ কেউ নিজেরাই যোগ দিয়েছেন গৌরবময় ইতিহাসের সাক্ষীর স্মৃতিতে ধরে রাখার জন্য।

বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) এদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বেশ ফাঁকা। কোথাও কোনও আয়োজন নেই, সাজসজ্জা নেই। নেই কোনও জনসমাগম। তবে কার্জন হলে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। কার্জন হলের গেটে নোটিশ লাগিয়ে বলা হয়েছে-প্রবেশ নিষেধ । শততম বছরের এই যাত্রার কোনও আয়োজন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের না থাকলেও সকালে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের সামনে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, এবং বেলুন উড়ানোর মধ্যে দিয়ে প্রতীকী কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ঢাবি ভিসি মো. আখতারুজ্জামান। পাশাপাশি কার্জন হল প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণও করেন তিনি। এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু সংখ্যক শিক্ষক, শিক্ষিকা, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাবি ক্যাম্পাসে বহিরাগত কেউ না থাকলেও হঠাৎ দেখা মিললো একই রঙয়ের শাড়ি পড়া তিন নারীর। কথা বলতে গিয়ে জানা গেল তারা একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং ক্যাম্পাসের ভেতরে একই বিল্ডিংয়ে থাকেন। ওই তিনজন হলেন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সুরাইয়া আক্তার, তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগারিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রওশন আক্তার, ভাষা বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খন্দকার খায়রুন্নাহার। তাদের সঙ্গে আরও যুক্ত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক শিক্ষার্থী। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের প্ল্যান ছিল শত বছর আগে নারীরা যে ধরনের পোশাক পরতেন তা পড়ে ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়াবেন। কিন্তু বৃষ্টির কারণে তা সম্ভব হয়ে উঠেনি। তাই তিনজনই নীল শাড়ি পড়ে এসেছেন অপরাজেয় বাংলার সামনে।  

ছবি: নাসিরুল ইসলাম