অনলাইনে পরীক্ষা চায় সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা

অনলাইনে পরীক্ষা দিতে চায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের (ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর বাংলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ ) ১৭-১৮ , ১৮-১৯ এবং ১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। ইতোমধ্যে অনলাইনে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য সাত কলেজের অধ্যক্ষ, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, প্রধান সমন্বয়ক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্মারকলিপি দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

স্মারকলিপিতে উল্লেখিত দাবিগুলো হলো:

১. ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের অনলাইনের (যেভাবে শিক্ষকরা ঠিক মনে করেন) মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নিতে হবে । 

২. অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার ৯০দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করতে হবে। অনলাইনের এক জরিপে দেখা গিয়েছে প্রায় ৮০% শিক্ষার্থী অনলাইন পরীক্ষা দিতে চায়। বাকিরা অ্যাসাইনমেন্ট এবং সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক।

কবি নজরুল সরকারি কলেজের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী তাকিবুর রহমান বাপ্পি বলেন, সাত কলেজ এমনিতেই সেশনজটে জর্জরিত। যদি অনলাইনের মাধ্যমে পরীক্ষা নেওয়া হয় তাহলে কিছুটা হলেও সেশনজট নিরসন হবে। সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনলাইনে পরীক্ষা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা সাত  কলেজের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে রয়েছি। আমরা পিছিয়ে থাকতে চাই না।

সাত কলেজের সমন্বয়ক ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মেই সাত কলেজ পরিচালনা করা হবে। ঢাবি যেই নিয়ম করবে আমরাও  একই নিয়ম অনুসরণ করবো।

ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন পরীক্ষার ব্যাপারে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, লকডাউনের কারণে সবকিছু থেমে আছে। এ অবস্থায় অনলাইন আমাদের একমাত্র বিকল্প ব্যবস্থা। শিক্ষার্থীরা চাইলে তাদের একাডেমিক পরীক্ষা অনলাইনে নেওয়া হবে।

অনলাইন পরীক্ষার বিষয়ে সাত কলেজের সমন্বয়ক ও ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার বলেন, সাত কলেজে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন গ্রুপ রয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ অনলাইন পরীক্ষা দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। আবার কেউ এর বিরোধিতাও করেছে। এখন পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের  সিদ্ধান্ত করোনা পরিস্থিতি নরমাল হলেই সশরীরে পরীক্ষা নেওয়া হবে। তবে অনলাইন পরীক্ষার ব্যাপারে না বলা হচ্ছে না। মূলত সাত কলেজের শিক্ষার্থী অনেক বেশি হওয়ায় অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার মতো আমাদের তেমন সুযোগ সুবিধা নেই।