প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বক্তব্যের বিষয়ে ফরিদ উদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের সঙ্গে কথা না বলে একতরফাভাবেই এ সব কথা বলেছেন। আমাদের কাছ থেকে শুনলে তিনি হয়তো এমন বলতেন না। আমরা চাই, সমস্যার সমাধান করে ক্লাসে ফিরে যেতে। ৫ মিনিট সময় না পেলে সেক্ষেত্রে আন্দোলনের ধরন কী রকম হবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এখনও আশা করছি, আমাদের সময় দেওয়া হবে।
গত বছরের মাঝামাঝিতে অষ্টম বেতন কাঠামো প্রস্তাবের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা নানা কর্মসূচিতে নিজেদের মর্যাদাহানি ও সুবিধা কমে যাওয়ার দাবি করে আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন।
এদিকে, অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির তৃতীয় দিন শেষে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, দাবি মেনে নিলে আজই আন্দোলন প্রত্যাহার করা হবে। আমরা কোনও অযৌক্তিক দাবি নিয়ে মাঠে নামিনি। এখন এটা কত দ্রুত সমাধান করা যায়, সেই উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে আমরা আশা করি। দাবি মেনে নিলে আজই ক্লাসে ফিরে যেতে চাই আমরা। প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত তারা সভা করছিলেন।
এর আগে গত সোমবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় আন্দোলনরত শিক্ষকদের উদ্দএশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, পেটের ক্ষুধা মিটালাম, এখন কেউ প্রেস্টিজ নিয়ে টানাটানি শুরু করেছেন। এত বেতন বাড়ানোর পরও কারও-কারও কেন অসন্তোষ—তা আমার বোধগম্য নয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা সচিবের মর্যাদা চাইলে চাকরি ছেড়ে বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে সচিব হয়ে যান। কোনও দাবি ছাড়াই আমি শিক্ষকদের বয়স ৬৫ বছর করে দিয়েছি, আপনারা কি চান এখন সচিবদের সঙ্গে মিলিয়ে আবার তাদের বয়স ৫৯ বছর করি?
এদিকে, আন্দোলনের কারণে শিক্ষার্থীদের কী ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে—জানতে চাইলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি আনন্দ কুমার সাহা বলেন, গতবছর মে মাস থেকে আমরা চেষ্টা করেছি, যেন শিক্ষার্থীদের কোনও সমস্যায় পড়তে না হয়। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, মঞ্জুরি কমিশনে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন, বিষয়টি সমাধানের, কিন্তু তারা তা করেননি। ফলে আমাদের চূড়ান্ত আন্দোলনে যেতেই হলো। সমস্যা নিরসনে কোনও আলোচনার ইঙ্গিত না পেলে আন্দোলন চলবে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা যৌক্তিক দাবিত আন্দোলন করছি এবং এটা অব্যাহত থাকবে।
/এমএনএইচ/