‘পাঠদান অব্যাহত রাখতে ৫-১১ বছরের শিক্ষার্থীদেরও টিকা দেওয়া হচ্ছে’

আর কখনও যাতে পাঠদান বন্ধ রাখতে না হয়, সে জন্য ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদেরও টিকার আওতায় আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, ‘টিকার ক্ষেত্রে আমাদের বিরাট সাফল্য রয়েছে। ১২-১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রথম ডোজ ৯৭ শতাংশ এবং দ্বিতীয় ডোজ ৭৩ শতাংশ শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয়েছে।’

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ৫ থেকে ১১ বছর সয়সী শিশু শিক্ষার্থীদের টিকা দান কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।  অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘টিকা কার্যক্রমে সবার যে ভূমিকা রয়েছে, তা যেন ঠিকমতো আমরা করতে পারি। আমাদের শিশুরা যেন নিশ্চিন্তে তাদের শিক্ষা কার্যক্রমে পুরোদমে অংশ নিতে পারে। কোভিডের সময় প্রায় দুই বছরের কাছাকাছি শিক্ষা কার্যক্রম নানাভাবে ব্যহত হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ হওয়ার কারণে আমরা শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে পেরেছিলাম। কিন্তু তারপরও শ্রেণিকক্ষে পাঠদান রাখতে পারিনি। সেই ঘাটতি এখন  পুষিয়ে নেবার চেষ্টা করছি। নতুন করে আমাদের আর যেন পাঠদান কখনও বন্ধ করতে না হয়। শ্রেণিকক্ষে পাঠদান যেন চালু থাকে। সে লক্ষ্যেই  সব শিক্ষার্থীকে ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসা প্রয়োজন। এ জন্যই ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদেরও টিকার আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে।  এই উদ্যোগের জন্য আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।’

ছবি: সাজ্জাদ হোসেন