বছরের প্রথম দিন পাঠ্যবই বিতরণে প্রকাশকদের সহযোগিতা চাইলেন শিক্ষামন্ত্রী

বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের মাঝে পাঠ্যবই বিতরণ নিশ্চিত করতে প্রকাশকদের সহযোগিতা চেয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। রবিবার (২ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর বাংলা বাজার পূজামণ্ডপের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই সহযোগিতা চান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার। ধর্ম যার যার উৎসবগুলো সবার। আমরা সেই চেতনা নিয়ে এগিয়ে যাবো, কাজ করবো। আমরা চাই, এখানে সবাই যার যার ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করতে পারবো। আমরা সবাই মিলে একযোগে কাজ করবো। শিক্ষা ব্যবস্থাতেও আমরা চেষ্টা করছি—আমাদের সন্তানদের, নতুন প্রজন্মকে বিজ্ঞানমনস্ক, প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ, মানবিক ও সৃজনশীল মানুষ হিসেবে যেন তৈরি করতে পারি।’

প্রকাশকদের সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে ডা.দীপু মনি বলেন, ‘আমাদের পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতারা যারা আছেন, তাদেরও অনেক বড় ভূমিকা আছে। আমরা তাদের ওপর ভীষণভাবে নির্ভরশীল। বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে দিতে হয়। কাজেই তার আগেই যেন সব বই সময় মতো ছাপা হয়। তার জন্য আমরা একদম তাদের ওপর নির্ভরশীল। অনেক প্রতিবন্ধকতা আছে, অনেক সীমাবদ্ধতা আছে, তারপরও এ বছরও বিগত বছরগুলোর মতো নিশ্চয়ই ১ জানুয়ারি সবার হাতে বই তুলে দিতে পারবো।’    

ধর্মের নাম করে বাঙালিদের ওপর নির্যাতন, নিপীড়ন চালানো হয়েছিল উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সব ধর্মের মানুষ যার যার ধর্ম পালন করছে, চর্চা করছে, প্রচার করছে। আমরা একেক সময় দেখলাম আঘাত আসছে। নিশ্চয় খুব ব্যথিত হই, ভীষণ কষ্ট পাই। আমরা বুঝি, এই যারা হামলা করছে, অনেক ক্ষেত্রেই তারা প্ররোচিত হয়ে করছে। তরুণদের নানাভাবে উত্তেজিত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা বিভ্রান্তি ছড়িয়ে তাদের দিয়ে নানানভাবে কাজগুলো করানো হচ্ছে। যারা করছে তা কিন্তু চিহ্নিত। এরাই তারা যারা একাত্তরের ঘাতক, যারা স্বাধীনতা চায়নি। এরাই তারা, যারা ৭৫-এ জাতির পিতাকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। এরাই তারা, যারা একুশে আগস্ট প্রাণপ্রিয় নেত্রীসহ পুরো নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চেয়েছিলে। এরা বাংলাদেশবিরোধী, সাম্প্রদায়িক।