অসদাচরণ ও দুর্নীতি, অধ্যক্ষ থেকে উপাধ্যক্ষ

অসদাচরণ ও দুর্নীতির দায়ে সাতক্ষীরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মো. আবদুল কুদ্দুস সরদারকে এক পদ নামিয়ে উপাধ্যক্ষ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) জারি করা এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ওই আদেশে আগের দিন সোমবার সই করেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. কামাল হোসেন।

আদেশ সূত্রে জানা গেছে, মো. আবদুল কুদ্দুস সরদার কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের অধীন সাতক্ষীরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় ২০২০-২১ অর্থ বছরে বরাদ্দ করা টাকা থেকে ১৩ লাখ ১২ হাজার ৪৯৪ টাকার মালামাল কিনতে পিপিআরের বিধান অনুসরণ করেননি। সরাসরি রুম ও কোটেশন প্রক্রিয়ায় সর্বোচ্চ আর্থিক সীমা লঙ্ঘন, আর্থিক কোড বহির্ভূত ব্যয় এবং তিনটি কোটেশনের মাধ্যমে কেনা মালামাল বাস্তবে গ্রহণ না করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ভুয়া বিল তৈরি ও বিল পরিশোধ দেখানো হয়। মো. আবদুল কুদ্দুস সরদার নিজস্ব প্রভাব খাটিয়ে অন্যায়-অবৈধ নির্দেশে ক্রয় কমিটির সদস্যদের দিয়ে মালামাল বুঝে পাওয়া গেছে বলে মিথ্যা প্রত্যয়ন গ্রহণ এবং নির্ধারিত কাজ সম্পন্ন বা কোনও মালামাল সরবরাহ না পেয়েও স্টক রেজিস্ট্রারে ভুয়া এন্ট্রি দেওয়া হয়। এসব অভিযোগ তদন্তে প্রমাণ পাওয়ার পর ২০১৮ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার ৩ এর উপবিধি (খ) এবং (খ) অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’ ও ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ প্রমাণিত হয়।

অফিস আদেশে আরও জানানো হয়, দ্বিতীয় কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় রুজুকৃত বিভাগীয় মোকদ্দমার ধারাবাহিক কার্যক্রমের এক পর্যায়ে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী গুরুদণ্ডের আওতায় ‘নিম্নপদে অবনমিতকরণ’ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ বিষয়ে সরকারি কর্ম কমিশনের পরামর্শ চাওয়া হলে কমিশন গুরুদণ্ড দেওয়ার সিদ্ধান্তের সঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করে।

গুরুদণ্ড হিসেবে আদেশ জারির তারিখ হতে পরবর্তী ছয় মাসের জন্য চাকরিতে ‘নিম্নপদে অবনমিতকরণ’ অর্থাৎ, তার বর্তমান বেতনস্কেল ৫০০০০-৭১২০০ টাকার স্থলে নিম্নস্কেল ৪৩০০০-৬৯৮৫০ টাকা স্কেলে ৬৯৮৫০ টাকা টাকা মূল বেতনে ‘উপাধ্যক্ষ পদে অবনমিতকরণ’ গুরুদণ্ড দেওয়া হলো। পদাবনতি বলবৎ থাকার সময়কাল অতিবাহিত হওয়ার পর তিনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ৫০০০০-৭১২০০ স্কেলে প্রত্যাবর্তন করবেন এবং তিনি ভবিষ্যতে ওই মেয়াদের কোনও বকেয়া প্রাপ্য হবেন না।