সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ সরকারি করার দাবিতে মানববন্ধন

রাজধানীর নিউ বেইলি রোডের সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজকে দ্রুত সরকারি করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী। সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজের সীমানা প্রাচীর সংলগ্ন ফুটপাতে মানববন্ধন করেন তারা।

মানববন্ধনে ছাত্রীরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী নারী শিক্ষার অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখার জন্য ২০১৯ সালে কলেজটিকে সরকারি ঘোষণা করেন। ২০২১ সালের ৮ নভেম্বর  শিক্ষা মন্ত্রণালয় সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজের সরকারিকরণ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ডিড অব গিফট হস্তান্তর করার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষকে জরুরি ভিত্তিতে নির্দেশ দেয়। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ অদ্যাবধি ডিড অব গিফট হস্তান্তর করেননি। বরং নানা অজুহাতে হস্তান্তর প্রক্রিয়া ব্যাহত করে কলেজটিকে সরকারি করার কাজে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। ফলে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ও অনুমোদিত কলেজটির সরকারিকরণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এদিকে শিক্ষার্থীদের ২৫ টাকা বেতনে লেখাপড়ার কথা জেনে ভর্তি হওয়ার পর এখন মাসে এক হাজার ৩০০ টাকা বেতন দিতে হচ্ছে, যা পরিবারের জন্য চাপ ও হতাশার।’

মানববন্ধনে অদিতি নামের এক ছাত্রী বলেন, ‘অবিলম্বে সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজকে সরকারি করতে হবে। অন্যথায় আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।’

মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে কলেজ ছাত্রী সাথী আক্তার বলেন, ‘আমাদের দাবি ৩টি। সেগুলো হলো—কলেজকে অবিলম্বে সরকারিকরণ, অবিলম্বে কলেজের ডিড অব গিফট হস্তান্তর এবং কলেজের মাসিক বেতন ২৫ টাকা করতে হবে।’

দাবি আদায়ের আল্টিমেটাম দিয়ে এই ছাত্রী বলেন, ‘আমরা আমাদের দাবি আদায়ের জন্য সাত দিনের সময় বেঁধে দিচ্ছি। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আমাদের দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে। অন্যথায়, আমরা বৃহত্তর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।’

মানববন্ধনে অভিভাবক শরীফুল হাসান শুভ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণার পরও কেন এই কলেজকে সরকারিকরণ করা হচ্ছে না। এখানে কাদের স্বার্থ জড়িত, সেটি খতিয়ে দেখতে হবে। আর অবিলম্বে এই কলেজকে সরকারি করতে হবে।’

অভিভাবক আফসানা খাতুন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা মোতাবেক এই কলেজকে সরকারি করলে আমরা খুবই উপকৃত হবো। আর আমরা এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

মানববন্ধনের পর অভিযোগ পাওয়া গেছে, এই মানববন্ধনে সেসব শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন,  কলেজের কিছু শিক্ষক তাদের হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। তবে ছাত্রীরা বলছেন, হুমকি-ধমকি দিয়ে কাজ হবে না, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।