প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন বাস্তবায়ন চান সেসিপ কর্মকর্তারা

প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন মেনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তরে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের (সেসিপ) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। 

রবিবার (২২ অক্টোবর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদফতরের চত্বরে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয় সেসিপ কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের ব্যানারে।

সরাসরি নিয়োগ করা শিক্ষা কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দাবি— প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মতি সেসিপের ১ হাজার ১৮৭ জন কর্মকর্তাকে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে হবে। ২১ অক্টেবারের মধ্যে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের কার্যক্রম দৃশ্যমান না হওয়ায় রবিবার থেকে দাবি আদায়ে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।

কর্মসূচি চলাকালে সেসিপ কর্মকর্তারা জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের আওতাধীন সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট (সেসিপ) বাস্তবায়ন করছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর। অধিদফতর সরাসরি নিয়োগ করে এসব কর্মকর্তাদের। সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট  প্রশিক্ষণ বিশেষজ্ঞ ১টি, কারিকুলাম বিশেষজ্ঞ ১টি, প্রোগ্রামার ২টি, শিক্ষা পরিসংখ্যানবিদ ১টি, মেনটেনেন্স ইঞ্জিনিয়ার ১টি, সহকারী মেনটেনেন্স ইঞ্জিনিয়ার  ১টি, থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ৭টি, থানা অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার ২৫টি, উপজেলা অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার ২৫টি, গবেষণা কর্মকর্তা ৪৭২টি, সহকারী পরিদর্শক ৮৬টি, সহকারী প্রোগ্রামার ২৪৪টি, ডিস্ট্রিক্ট ট্রেনিং কো-অর্ডিনেটর ৫৬টি,  সহকারী থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ৫৯টি  কম্পিউটার অপারেটর ২১টি, ভাটা এন্ট্রি অপারেটর ২১টি, হিসাব রক্ষক ৬টি, হিসাবরক্ষক ১টি, কম্পিউটার অপারেটর কাম অফিস সহকারী ১৬টি, গাড়িচালক ১৭টি, অফিস সহায়ক ১৫টি, নাইট গার্ড ৫৯টি, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ২৫টিসহ মোট ১ হাজার ১৮৭টি পদে জনবল নিয়োজিত রয়েছে। এসব জনবলসহ রাজস্ব খাতে স্থানান্তরে প্রধানমন্ত্রী নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন। এরপর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্মতিও দিয়েছেন। অথচ অর্থবিভাগ তা নাকচ করছে।

সেসিপ কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি রাজধানীর বাড্ডা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল হাকিম বলেন, আগামী ডিসেম্বরে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে। এই সময়ের মধ্যে আমরা রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের দাবি জানাচ্ছি। ছয় বার প্রকল্পের মেয়াদ বেড়েছে, কিন্তু আমাদের বেতন বাড়েনি এক টাকাও। বরং চাকরির অনিশ্চয়তা তৈরি হযেছে।

গাজীপুর জেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী পরিদর্শক শামীমা ফেরদৌসি বলেন, ১ হাজার ১৮৭টি পদ জনবলসহ রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের জন্য অর্থ বিভাগে পাঠালে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী ৮০১টি পদের অনুমোদন দেয় অর্থ বিভাগ। সর্বশেষ ২০২২ সালের ২০ জুন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পুনরায় প্রস্তাব পাঠালে নাকচ করে অর্থ বিভাগ। অথচ প্রকল্পে মেয়াদ রয়েছে দুই মাসের বেশি।  আমরা রাজস্ব খাতে দ্রুত স্থানান্তরের দাবি জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি।