বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্মার্ট সিটিজেন তৈরিতে ভূমিকা রাখার আহ্বান ইউজিসি’র

দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্মার্ট সিটিজেন তৈরিতে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

রবিবার (২৮ জানুয়ারি) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক অগ্রগতি প্রতিবেদন পর্যালোচনা সংক্রান্ত এক কর্মশালায় এ আহ্বান জানানো হয়।

কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক আবু তাহের বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কম্পোনেন্ট হচ্ছে স্মার্ট সিটিজেন। স্মার্ট সিটিজেন সৃষ্টির সূতিকাগার হচ্ছে দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। স্মার্ট সিটিজেনের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘দেশের বিশাল সংখ্যক তরুণ জনগোষ্ঠীর জন্য উপযুক্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে মানবসম্পদ উন্নয়নে যুগোপযোগী পদক্ষেপ নিতে হবে। ফলনির্ভর ও গুণগত শিক্ষায় বেশি গুরুত্ব প্রদান এবং বাজারের চাহিদা অনুযায়ী নতুন বিভাগ চালু, কোর্স প্রবর্তন, রিসার্চ সেন্টার প্রতিষ্ঠা এবং প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে।’

অধ্যাপক আবু তাহের আরও বলেন, ‘শিক্ষার গুণগত মান এবং গ্র্যাজুয়েটদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করতে উচ্চশিক্ষায় বড় ধরনের বিনিয়োগ প্রয়োজন। শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে মেগা প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া শিক্ষা খাতে গুণগত মানোন্নয়নের জন্য জাতীয় বাজেটে উচ্চশিক্ষা খাতের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিতে হবে।’

কর্মশালায় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের র‌্যাংকিং, মানসম্পন্ন গবেষণা পরিচালনা, আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রাখা, সুশাসন নিশ্চিত করতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে বলেও তিনি জানান।

ইউজিসির সচিব ড. ফেরদৌস জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কমিশনের অতিরিক্ত পরিচালক জেসমিন পারভীন উপস্থিত ছিলেন।

ড. ফেরদৌস জামান বলেন, ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির লক্ষ্যগুলো সুনির্দিষ্ট, বাস্তবসম্মত, সময়াবদ্ধ ও বাস্তবায়নযোগ্য হতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি করতে হলে এপিএ চুক্তি শতভাগ বাস্তবায়ন করতে হবে।’

ইউজিসির উপপরিচালক ও এপিএ’র ফোকাল পয়েন্ট বিষ্ণু মল্লিকের সঞ্চালনায় কর্মশালায় ২৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের এপিএ কমিটির ফোকাল পয়েন্টরা অংশগ্রহণ করেন।