‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি প্রোগ্রাম চালুর সিদ্ধান্ত দ্রুতই নেবে ইউজিসি’

দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পিএইচডি প্রোগ্রাম চালুর বিষয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এসএমএ ফায়েজ। সার্বিক সক্ষমতা যাচাই করে উপযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পিএইচডি প্রোগ্রাম চালুর অনুমোদন দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

সোমবার (১২ মে) বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ (সংশোধন-২০২৪) এর বিষয়ে অংশীজনের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান। ইউজিসি অডিটোরিয়ামে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অধ্যাপক ড. এসএমএ ফায়েজ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় সমাজেরই একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। সমাজের বিভিন্ন সমস্যা বিশ্ববিদ্যালয়কেও প্রভাবিত করে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সামাজিক সমস্যা নিয়ে গবেষণা পরিচালনা করে সমাধান বের করতে হবে।

পরিবর্তিত সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে শিক্ষার্থীদের আকাঙ্ক্ষা ও মানসিক অবস্থা গুরুত্বসহকারে অনুধাবন করে তাদের প্রত্যাশা পূরণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান চেয়ারম্যান।

অধ্যাপক ড. এসএমএ ফায়েজ আরও বলেন, ইউজিসি উচ্চশিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন এবং প্রসারে পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আলাদাভাবে দেখতে চায় না। নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ নয় বরং সহায়ক প্রতিষ্ঠান হিসেবে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চায় ইউজিসি।

মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উচ্চশিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। উচ্চশিক্ষা প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে একটি যথার্থ আইনি কাঠামোর মধ্যে থেকে এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শিক্ষার গুণগত মান নিশিচত করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।

অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালগুলোতে শিক্ষা ও গবেষণার মান নিশ্চিত করতে ইউজিসি একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত আইন এবং বিভিন্ন নীতিমালা তৈরি ও সংশোধন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। যুগের চাহিদা পূরণে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সুষ্ঠু পরিচালনার স্বার্থে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।

সভায় আরও ছিলেন– ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নাকিব, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম, নর্থ সাইথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল হান্নান চৌধুরি, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. শামস রহমান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. নুরুল ইসলাম, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ডিন অধ্যাপক ড. ইউসুফ হায়দার, বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সভাপতি ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদসহ বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি, ইউজিসির সচিব, বিভিন্ন বিভাগের পরিচালক এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।