দর্শক কিংবা ভক্তদের উন্মাদনা নিয়ে জনপ্রিয় শিল্পীদের আবেগ-টাবেগ খুব একটা থাকে না। কারণ প্রতিনিয়তই এমন অভিজ্ঞতার শিকার হন তারা। তার ওপর সেটা যদি হয় দেশের অন্যতম জনপ্রিয় শিল্পী আঁখি আলমগীরের বেলায়- তবে তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
অবশ্যই রাখে। আঁখির ভাষায়, ‘জীবনে হাজারটা সফল শো করেছি। শত দেশ ঘুরেছি। অসংখ্য মধুর অভিজ্ঞতা রয়েছে স্টেজ শো নিয়ে। ভক্ত-শ্রোতাদের পাগলামী তো প্রতিনিয়তই উপভোগ করছি। তবে এবারের অভিজ্ঞতা আমাকে বিস্মিত করেছে। আমি আবেগাপ্লুত হয়েছি। চোখের কোণে জল এসেছে। সত্যিই বিদেশ-বিভুঁইয়ে একটি জায়গায় মানুষের এমন ভালোবাসায় আমি নিজেকে ধরে রাখতে পারিনি সেদিন।’
তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ওল্ডহ্যাম-এর শো এর আগে এক ঘণ্টার একটা ইভেন্টের আয়োজন করে আয়োজকরা। সেটার নিয়ম ছিল এমন- কেউ চাইলে তার পছন্দের শিল্পীর সঙ্গে একটা ছবি তুলতে পারবে। এরজন্য প্রত্যেককে ১০০ পাউন্ড ব্যয় করতে হবে। আয়োজনটি ভিন্ন রকমের। তবুও আমি ও মমতাজ আপা ভেবেছিলাম- তেমন সাড়া পাবো না। টাকা খরচ করে কে তুলবে ছবি? কিন্তু আমাদের ধারণা পাল্টে দিয়ে সেদিন এক ঘণ্টায় ৩০০ জনের ওপরে ভক্ত-শ্রোতার সঙ্গে ছবি তুলতে হলো আমাদের। যা এক কথায় অবিশ্বাস্য। এমন অভিজ্ঞতা আর হয়নি আমার।’
এখানেই শেষ নয়। আঁখির আসল আবেগের ঘটনাটি ঘটেছিল একই শো’তে, ওল্ডহ্যাম-এ। তার ভাষায়, ‘এদিন যথারীতি শো চলছে। আমি গাইছি। পুরো হলভর্তি দর্শক গানের তালে নাচছেন-গাইছেন। শেষ গান গেয়ে বিদায় নিয়ে মঞ্চ ছাড়ার আগে ঘটলো ঘটনাটি। দেখলাম আমার শিল্পী জীবনের অসাধারণ একটি দৃশ্য। দেখলাম, হলে উপস্থিত প্রতিটি মানুষ দাঁড়িয়ে গেলেন। মুহুর্মুহু করতালি দিতে থাকলেন। এমন সম্মিলিত ভালোবাসা আমি আর কোথাও পাইনি। আমি সত্যিই সেদিন আবেগে কেঁদে ফেলেছিলাম। মনে হয়েছে- এ জীবন ধন্য।’
আঁখি লন্ডন থেকে আজকলকের মধ্যে উড়ে যাচ্ছেন কানাডা। সেখানে ২১ ও ২২ মে দুটি শোতে অংশ নিয়ে দেশে ফিরবেন ২৪ মে।
/এমএম/