কনসার্টটির আয়োজক স্থানীয় একটি এফএম রেডিও স্টেশন। তারাই সর্বশেষ এ সিদ্ধান্ত দিয়েছে। তবে এর আগে মাইলস বয়কট ডাক দেওয়াতে দুই বাংলায় বেশ সামলোচিত হয় ফসিলস।
কারণ, মাইলসের বিরুদ্ধে ভারত-বিদ্বেষের সস্তা অভিযোগ তোলে কলকাতার ব্যান্ডটি।
বির্তক হওয়ায় আয়োজক প্রতিষ্ঠান রেড এফএম দু’দলকেই কনসার্ট থেকে সরিয়ে দিয়ে সমস্যার প্রাথমিক সমাধান করে। ফেসবুকের এক বিবৃতির মাধ্যমে তা জানায় আয়োজকরা।
তবে তার দুদিন যেতে না যেতেই শনিবার আয়োজকরা জানালেন মাইলস নয়, থাকছে ফসিলস।
অনুসন্ধানে জানা যায়, এটা মূলত ‘বয়কট মাইলস’ নামের একটি ফেসবুক পেজের কারণেই। যেখানে যুক্ত আছেন রূপমসহ ফসিলস ব্যান্ডের অন্য সদস্যরাও।
তবে দেশবিদ্বেষ অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে শাফিন বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে বেশ কয়েকবার কথা বলেছেন। তাতে তিনি ফসিলসের তোলা অভিযোগগুলো নিয়ে সরাসরি ব্যাখ্যাও দিয়েছেন।
১. ‘বাংলাদেশের এবার সাবধান হওয়া প্রয়োজন। চেকপয়েন্টে পরীক্ষাকেন্দ্র বসানো উচিত। সোয়াইন ফ্লু ছড়িয়ে পড়ছে ভারতে’। লিখেছেন শাফিন।
শাফিনের ব্যাখ্যা, ‘আমার দেশ নিয়ে আমি কথা বলেছি। এটাতে তাদের কী! এর আগে অন্য একটি ফ্লু যখন হয়েছে, তখন সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, মালোশিয়ার চেপপোস্ট ও বিমানবন্দরের সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। আমার দেশে যেন ছড়িয়ে না পড়ে- এ জন্য আমি চিন্তিত হতেই পারি।’
অভিযোগ-২: বাংলাদেশে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী পাঠানো নিয়ে শাফিন লেখেন, ‘...বিগিনিং অব দি এন্ড অর এন্ড অব বিগিনিং’।
শাফিন বলেন, ‘এটারও একই উত্তর। আমার দেশ নিয়ে আমি কথা বলেছি। আর বর্ডারে যে হারে বাংলাদেশি হত্যা হচ্ছে, তা কারও অজানা নয়। পৃথিবীর আর কোনও বর্ডারে এভাবে মানুষ খুন হয়! আমি তো ফেলানি ইস্যু এখনও তুলিনি, গরু ব্যবসায়ীদের ইস্যু এখনও বলিনি!’
অভিযোগ-৩: ‘আমার বিরক্তি প্রকাশের কোনও ভাষা নেই। রেপ ক্যাপিটাল অব দ্য ওয়ার্ল্ড গেটিং সিকার বাই দ্য ডে!’ লিখেছেন শাফিন।
মজার বিষয় হলো, এখানে ইন্ডিরার নাম নেই।
শাফিন বলেন, ‘এটা আমার কথা নয়। বিশ্বজুড়ে শোনা যায়- কোনও একটা দেশকে এভাবেই দেখা হয়! তারা নিজেরা বিষয়টা নিজের কাধে নিয়েছে।’
তবে ব্যাখ্যায় যা আসুক না কেন, বয়কটের ডাক দেওয়া ফসিলসের কথাটাই রাখতে হয়েছে আয়োজকদের। অনেকটা বাধ্য করা হয়েছে ফসিলসকে রাখতে।
এমনকি ‘‘স্বাধীনতা কনসার্টে ‘মাইলস’ বাদ, কিন্তু ‘ফসিলস’ও বাদ কেন? উত্তর মিলছে না’’ শিরোনামে সংবাদও হয়েছে কলকাতায়। এছাড়া ছিল ফসিলস সদস্যদের আন্দোলনও।
তবে আয়োজকদের সিদ্ধান্তের আগেই মাইলস জানিয়েছে, তারা এই কনসার্টে আর অংশ নেবেন না।
মাইলসের মতে, এটার মূল কারণ ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বিতর্কিত বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচটির কারণেই। ঐ ম্যাচটিকে ঘিরে মাইলস সদস্যদের সঙ্গে ফেসবুকে বাহাস হয় রূপম ইসলাম ও তার স্ত্রীর সঙ্গে। তখন বাংলাদেশীদের ‘নব্য পাকিস্তানি’ বলে তীর্যক মন্তব্য করেন রূপম।
এদিকে মাইলসকে সরিয়ে ১৩ আগস্টের ঐ কনসার্টে ফসিলসের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কলকাতার আরেক ব্যান্ড চন্দ্রবিন্দু।