মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে ২০০৭ সালের ১৯ নভেম্বর প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১০ মিনিটে তিনি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা সঞ্জীব চৌধুরী আশির দশকে সাংবাদিকতা শুরু করেন। আজকের কাগজ, ভোরের কাগজ ও যায়যায়দিনসহ বিভিন্ন দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় সুনামের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। সর্বশেষ কাজ করেছিলেন যায়যায়দিনের ফিচার সম্পাদক হিসেবে। তার হাত ধরেই মূলত দৈনিক পত্রিকায় ফিচার বিভাগের শুরু হয়।
সাংবাদিকতার পাশাপাশি শুরুর দিকে ‘শঙ্খচিল’ নামের একটি দলে সংগীতচর্চাও করতেন। এরপর ১৯৯৬ সালে সংগীতশিল্পী বাপ্পা মজুমদারের সঙ্গে গড়ে তোলেন ব্যান্ড ‘দলছুট’। সঞ্জীব চৌধুরী ও বাপ্পার যৌথ উদ্যোগে এই ব্যান্ডের অ্যালবামগুলো হলো- আহ্ (১৯৯৭), হৃদয়পুর (২০০০), আকাশচুরি (২০০২) এবং জোছনা বিহার (২০০৭)।
বাউল শাহ আবদুল করিমের ‘গাড়ি চলে না’ এবং ‘কোন মেস্তরি বানাইয়াছে নাও’ গান দুটি কণ্ঠে তুলেও তিনি বেশ প্রশংসিত হন।
সঞ্জীব চৌধুরী ২৫ ডিসেম্বর ১৯৬৪ সালে বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার মাকালকান্দি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলায় হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা করেন। এরপর ঢাকার বকশী বাজার নবকুমার ইন্সটিটিউটে নবম শ্রেণীতে ভর্তি হন। এখান থেকে ১৯৭৮ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ১২তম স্থান অর্জন করেন।
সঞ্জীব চৌধুরীর এবারের মৃত্যুবার্ষিকীকে স্মরণ করে তারই অন্যতম সংগীত যোদ্ধা বাপ্পা মজুমদার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘পাগল রাগ করে চলে গেল ...ঊনিশ নভেম্বর... রাত বারোটা দশ... সঞ্জীব দা চলে গেলেন... দাদা গো... মিস ইউ দাদা...!’
সঞ্জীব চৌধুরীর গান:
/এমএম/