কিন্তু কেন শুক্রবারের প্রতি তাদের এত মনযোগ? কেনই বা ছবি মুক্তির ক্ষণ হিসেবে তারা এই দিনটি চূড়ান্ত করেন!
উত্তর খোঁজা হয়েছিল দেশীয় চলচ্চিত্র দিয়েই। এদেশের অনেক নির্মাতা ও চলচ্চিত্র ব্যবসায়ীদের মতে, শুক্রবার বন্ধের দিন। সরকারি ও বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান এদিনটি বন্ধ থাকে। কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এদিনটিতে কাজ করা হলেও লোকসংখ্যা থাকে কম। অর্থাৎ এদিনে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটাতে পাছন্দ করেন সবাই। আর সময় কাটানোর অন্যতম মাধ্যম চলচ্চিত্র। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে প্রেক্ষাগৃহে সহজেই ছবি দেখতে পারেন যে কোনও ব্যক্তি! আর অনেক ব্যবসায়ী মনে করেন, দিন হিসেবে শুক্রবার শুভদিন।
শেষের এ মনে করার লোকের সংখ্যা ভারতে নেহাতই কম নয়। তাদেরও একই ধারণা! কারণ তাদের সাপ্তাহিক ছুটি রবিবার হলেও শুক্রবারে ছবি মুক্তি দেওয়া হয়।
তবে ইতিহাস নিয়ে একটু নাড়াচাড়া করলে কয়েকটি তথ্য সামনে আসে।
ষাটের দশকের প্রথম দিকে ‘মুঘল-ই-আজম’-ছবির রেশ ধরেই শুক্রবার মুক্তির চল শুরু হয় ভারতে। ছবিটি মুক্তির তারিখ ১৯৬০-এর ৫ অগস্ট, দিনটি ছিলো শুক্রবার।
এর আগে বিভিন্ন দিনে ছবি মুক্তি পেয়েছে। তবে ‘মুঘল-ই-আজম’-ই সব নিয়ম নীতি উল্টে দেয়। ছবিটি ব্যবসায়িকভাবে লাভবান তো বটেই মানুষের কাছেও দারুণ জনপ্রিয় হয় এর চরিত্রগুলো। তাই অন্যরাও ছবিটিকে অনুসরণ করার চেষ্টা করেন।
তবে এরচেয়েও বড় কারণ হিসেবে অনেক বলিউড বণিক দাঁড় করান হলিউড তত্ত্বকে।
কারণ হলিউডেও ছবি মুক্তি হয় শুক্রবারে! তার কারণ হিসেবে সামনে এসেছে তিনটি তথ্য। প্রথমটা ইতোমধ্যে দুইবার বলা হয়েছে- শুভলগ্ন!
অন্যদিকে রবিবার সাপ্তাহিক বন্ধের এক দিন আগে অর্থাৎ শুক্রবারে ছবি মুক্তি দেওয়ার কারণ পারিবারিক ও ব্যবসায়িক দুইভাবেই তুলে ধরা হয়েছে।
এ কারণেই বিশ্ব ছবির বাজারে ‘শুক্রবার’ চূড়ান্ত। আর প্রচ্ছন্নভাবে বললে, পশ্চিমা বিষয়টিকে অনুসরণ করেছে উপমহাদেশের চলচ্চিত্র বাজার।
তবে বিভিন্ন উৎসবের সূত্র ধরে মাঝে মাঝে এর ব্যতিক্রমও ঘটে।