পিয়ানোতে ফিরেছে জুয়েলের সেই গান

ভিডিওতে জুয়েল১৯৯৪ সাল। প্রকাশ পেয়েছে জুয়েলের ২য় একক ‘এক বিকেলে’। মূলত এই অ্যালবামের শিরোনাম গানটি দিয়েই তিনি জানান দেন, তার কণ্ঠগরিমা কিংবা গভীরতার মাপ।

সেদিনের এক বিকেলে তোমার চোখে জল দেখেছি...। নিশ্চিত, এখনও গানটি অগুনতি মানুষের মনের খোরাক যোগাচ্ছে। সময়ে অসময়ে সঙ্গ দিচ্ছে শ্রোতাদের একলা প্রহর। করছে স্মৃতিকাতর। সম্প্রতি সেই গানটির পিয়ানো ভার্সন এবং একটি চমৎকার ভিডিও ইউটিউবে প্রকাশ করেছেন জুয়েল।  
সৈয়দ আওলাদের কথায়, আইয়ুব বাচ্চুর সুর-সংগীতে শিল্পী নিজেই গানটির কাভার হিসেবে পিয়ানো ভার্সন রেকর্ড করেন। আর এতে নতুন সংগীতায়োজন করেন ইফতেখারুল আনাম।
মিউজিক ভিডিওটি নির্মাণের সঙ্গে জড়িত ছিলেন পরিচালক রম্য খান, ডিরেক্টর অব ফটোগ্রাফি মনিরুল ইসলাম মাসুম এবং প্রযোজক ইফতেখার আলি ডন।
জুয়েল জানান, তার দীর্ঘদিনের বন্ধু ইফতেখার আলি ডনের উদ্যোগে পেশাদার ভিডিও সেক্টরের ৩০জন মানুষ, যারা দীর্ঘদিন পরস্পরের সঙ্গে কাজ করেছেন এবং বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ তারা সবাই ছিলেন এই ভিডিও নির্মাণের পেছনে। এবং বিনা পারিশ্রমিকে এটি নির্মাণ করেছেন সংগীতশিল্পী-নির্মাতা জুয়েলের প্রতি তাদের ভালবাসার টানে।

গানটি প্রসঙ্গে হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল বলেন, ‘‘গানটি এক বিষণ্ণ বিকালের গল্প। ১৯৯৪ সালে আমার দ্বিতীয় একক ‘এক বিকেলে’ বের হয়। তারও আগে ‘কুয়াশা প্রহর’। কিন্তু ‘সেদিনের এক বিকেলে’ হয়ে গেলো আমার সিগনেচার সং। তখন এতো টিভি চ্যানেল, ইউটিউব কিংবা ফেইসবুকের বাহার ছিল না। পত্রিকায় নিউজ কাভারেজ পাওয়া যেত না। বিটিভিতে একটা গান প্রচার হওয়া আমার মতো নতুন গায়কের জন্য আকাশের চাঁদ হাতে পাবার মতো ছিল। কিন্তু এসব ছাড়াই শ্রোতারা ক্রমে আপন করে নিলেন ‘শেষ বিকেলে’ গানটি আর মফস্বল থেকে আসা এই স্বপ্নবাজ শিল্পীটিকে।’’

গানটি প্রসঙ্গে স্মৃতিকাতর জুয়েল আরও বলেন, ‘গানটা যেদিন বেইলি রোডের অডিও আর্ট স্টুডিওতে রেকর্ড হচ্ছিল, সেদিন  বাংলাদেশের অন্যতম রেকর্ডিং কুশলী পান্না আযম ভাই ট্র্যাকটা ধারণ করছিলেন। তিনি আমাকে চেনেন না। বললেন- যদি এই গানটি ঠিক করে গাইতে পারো, শ্রোতারা তোমাকে ঠিকই চিনে নেবে। এই কথা শুনে ভীষণ আবেগ নিয়ে গেয়েছিলাম সেদিন। এখন জানছি, গানটি ৯০ দশকের ভালো গানগুলোর  অন্যতম হয়ে আছে।’
মাঝে ২৩ বছর পার করে আবারও সেই গানটি নতুন আদলে শ্রোতা-দর্শকদের কাছে তুলে দিলেন জুয়েল।
প্রসঙ্গত, গত বছর গানচিলের ব্যানারে প্রকাশ হয়েছিলো জুয়েলের প্রথম সিঙ্গেল ‘তাতে কি বা আসে যায়’ এবং প্রবাসীদের উৎসর্গ করা দেশের গান ‘এই সবুজের ধান ক্ষেত’।  শেষ পর্যায়ে রয়েছে জুয়েলের ১০ম একক অ্যালবাম। নাম না ঠিক হওয়া এই অ্যালবামের সব গান লিখেছেন শাহান কবন্ধ এবং সুর-সংগীতায়োজন করেছেন বাপ্পা মজুমদার।
ভিডিওতে জুয়েল/এমএম/