বলেছেন, সংগঠন থেকে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হবে শিগগিরই।
সেই বিবৃতি ডিরেক্টরস গিল্ডের ফেসবুক পেজে দেওয়া হয়েছে শেষ রাত (মঙ্গলবার দিবাগত রাত) সোয়া তিনটার দিকে! যেখানে গিল্ডের সভাপতি নাট্যজন গাজী রাকায়েত স্পষ্ট ভাষায় ‘ডুব’ বিতর্ক প্রসঙ্গে সাংগঠনিক অবস্থানের বিষয়টি জানান দেন।
বিবৃতিতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই না আমাদের কোনও ডিরেক্টরের সিনেমা সেন্সর বোর্ড-এ আটকে থাকুক।’
অন্যদিকে বিবৃতির পরের লাইনে তিনি ‘ডুব’ সংশ্লিষ্টদের তথা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে মনে করিয়ে দেন, ‘দর্শকের কাটতি বাড়ানোর জন্য হুমায়ূন আহমেদের মতো একজন কথা সাহিত্যিকের ব্যক্তিজীবন ও পরিবারকে ব্যবহার করাটাও আমাদের কাছে কাম্য নয়।’
এদিকে সংগঠনের পক্ষে গাজী রাকায়েতের এমন ‘ধরি মাছ না ছুঁই’ পানি ঘরানার বিবৃতিকে যৌক্তিক বলেই দাবি করেছেন এর সাধারণ সম্পাদক এস এ হক অলীক।
জবাবে অলীক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা আসলে দুই পক্ষকেই ওউন করছি। এখানে কেউ আমাদের শত্রু নন। আমরা চাই সবার সাম্য। আমরা চাই কোনও চলচ্চিত্র বিনা কারণে আটকে না থাকুক। এখন নির্মাতা যদি বলেন, এখানে হুমায়ূন স্যারের কিছু নেই, তাহলে তাই বিশ্বাস করতে হবে। কারণ, আমরা তো সিনেমাটি দেখিনি। আমি মনে করি, এখন এই সমস্যার সমাধান একমাত্র সেন্সরবোর্ডই দিতে পারে। ফলে আমরা তাদের উপরেই ভরসা রাখছি।’
প্রসঙ্গত, ডিরেক্টরস গিল্ডের আগে ফারুকীর ‘ডুব’ চলচ্চিত্রটিতে হুমায়ূন আহমেদের জীবনের অংশ ব্যবহার করার বিষয়ে বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি লিখিত প্রতিবাদ জানায় গেল ২৩ ফেব্রুয়ারি।
সম্পর্কিত সংবাদ:
বাংলা ট্রিবিউনকে আবারও ইন্দ্রনীল: হুমায়ূন পরিবারের সদস্যদের ফোন নম্বরও ফারুকী দিয়েছেন (অডিও)
‘ডুব’ প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে যা বললেন শাওন
আনন্দবাজারকে ফারুকীই জানান- ‘ডুব’ হুমায়ূনের জীবন থেকে নেওয়া