১৭ এপ্রিল সকালে এক টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, ‘‘প্রতিদিন ভোরে আজানের ‘কর্কশ’ শব্দের কারণে ঘুম ভেঙে যায় তার। এজন্য তিনি বিরক্ত হন।’’ এখানেই থেমে থাকেননি সনু। এরপর আরকেটি টুইটে তিনি বলেন, ‘মোহাম্মদের সময় তো বিদ্যুৎ ছিল না। এখন মাইক্রোফোনে আজানের সুর অনেক কর্কশ।’
সনু তার টুইটে আজানের ধ্বনিকে ‘জোর করে চাপিয়ে দেওয়া’ বলেও উল্লেখ করেছেন।
স্বাভাবিকভাবে এমন মন্তব্যের পর তোপের মুখে পড়েছেন সনু। শুধু মুসলিম নয়, অমুসলিমরাও তার দিকে সমালোচনার তীর ছুঁড়ছেন। হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভক্তরাও সনুকে ত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছেন টুইটারে। অনেকে বলেছেন, সনুর ক্ষমা চাওয়া উচিত। কেউ বলেছেন, তার অন্য ধর্মের প্রতি সহিষ্ণু হওয়া উচিত।
বাচ্চারা তোমরা ইতিহাস জানো না। ১৪ বছর আগেই সনু নিগমের ক্যারিয়ার সিলগালা করে দিয়েছিল রাহাত ফতেহ আলী খান, শাফকাত আমানত আলী, আতিফ আসলাম, তারপর আমাদের জেমস।
সে বুঝে গিয়েছিল তার একঘেয়ে ছিঁচকাঁদুনে গলা আর কেউ শুনবে না। পড়তি ক্যারিয়ারের ফ্রাস্ট্রেশনে তাই শেষ রাতে ভরপুর নেশাগ্রস্থ অবস্থায় ইচ্ছেমতো লিখতে বসে যাওয়া ছাড়া তার আর কিইবা করার আছে?
আজানের সুরকে অবমাননা করে টুইট, আলোচনায় আসার উপলক্ষ মাত্র। আর মাঝে মধ্যে উপলক্ষ বদলালেও তার ভেতরের সাম্প্রদায়িকতার তোরণ সরে না।
এরা কি আসলেই শিল্পী নাকি স্ট্যান্টম্যান!! সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প এরাই ছড়ায়...
আমাদের বাড়ি খুলনা শহরের সবচেয়ে বড় গির্জার পাশে। শুধু আজানের সুর নয় সন্ধ্যা-সকাল চার্চবেল আর আশেপাশের হিন্দু বাড়ি থেকে আসা উলুধ্বনিও আমাদের কাছে শ্রেষ্ঠ সুর বলেই মনে হয়।
/এমএম/