‘হেরে যাওয়া মানে পালিয়ে যাওয়া নয়’

‘নির্বাচনে হারজিৎ থাকবেই। মনে রাখতে হবে, হেরে যাওয়া মানে পালিয়ে যাওয়া নয়। আমরা কাউকে পালাতে দিবো না। যারা নির্বাচনে হেরেছেন তাদের সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করবো।’ কথাগুলো বলেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদ্য নির্বাচিত সভাপতি মিশা সওদাগর।

শিল্পী সমিতি প্রথখম,বুধবার (২৪ মে) বিকালে সমিতির অফিসে বসে নির্বাচনে পরাজিতদের উদ্দেশ্যে এভাবেই বলেন তিনি। এসময় তার পাশে উপস্থিত ছিলেন কিংবদন্তি অভিনেত্রী কবরী, সিনিয়র অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন, সদ্য নির্বাচিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানসহ অন্য সদস্যরা।
কবরী ও ইলিয়াস কাঞ্চন নবনির্বাচিতদের ‘প্রথম কার্যদিবসে’ শুভেচ্ছা জানাতেই বিএফডিসিতে আসেন। নতুন কমিটির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের এই দিনে নির্বাচিত অন্য অনেক সদস্য, প্রাক্তন সভাপতি শাকিব খান কিংবা পরাজিত প্রার্থী ওমর সানী-অমিত হাসানদের অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে মিশা বলেন, ‘আমি এবং আমরা গতকালও সবাইকে ফোন করে আসতে বলেছি। তাদের সবার দোয়া ও সমর্থন চেয়েছি। তাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছি। আমার বিশ্বাস সবাই আমাদের সঙ্গে আছেন। তবে ব্যক্তিগত ব্যস্ততার কারণে হয়তো তারা আজ (বুধবার) আসতে পারেননি।’
এদিকে সমিতির পুরনো কমিটির অনুপস্থিতিতে নতুন কমিটির এই ‘ক্ষমতা হস্তান্তর’ প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে মিশা বলেন, ‘এখানে আসলে পুরনো কমিটির উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিক হস্তান্তরের কিছু নেই। আমাদের শপথ হয়েছে। আদালতের একটি স্থগিতাদেশ ছিল, সেটিও স্থগিত করা হয়েছে। ফলে আজ আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে সমিতির অফিসে এসেছি। এখানে সিনিয়র শিল্পী এবং মিডিয়ার উপস্থিতিতে প্রথম কার্যদিবস কাটালাম। এটাই স্বাভাবিক হস্তান্তর প্রক্রিয়া।’
শিল্পী সমিতি কবএদিকে নতুন কমিটির এই ক্ষমতা হস্তান্তরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন সিনিয়র দুই শিল্পী কবরী ও ইলিয়াস কাঞ্চন।  
প্রসঙ্গত, ৫ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মিশা সওদাগর-জায়েদ খান প্যানেলের প্রার্থীদের অধিকাংশই জয়ী হয়েছেন। ফল ঘোষণার পর পরাজিত সভাপতি প্রার্থী ওমর সানী ভোট পুণর্গণার জন্য আপিল করেন। এরপর রমিজ উদ্দিন নামে পরাজিত আরেক প্রার্থী আদালতের শরনাপন্ন হয়ে সমিতির সদস্যদের ক্ষমতা হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আসেন। পরদিন ক্ষমতা হস্তান্তর না হলেও নবনির্বাচিতরা শপথ নেন। সবশেষ ২৩ মে জানা গেলো, প্রতারণার অাশ্রয় নিয়েছিলেন রমিজ উদ্দিন। স্থগিত করা হয় আদালতের স্থগিতাদেশ।
শিল্পী সমিতি প৪্রথমমমছবি: ওয়ালিউল মুক্তা ও সুদীপ্ত সাঈদ খান

/এম/এমএম/