শ্রদ্ধা নিবেদনের আগে সকালে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতাল থেকে সুধীন দাশের মরদেহ প্রথমে তার মিরপুরের বাসভবনে নেওয়া হয়। এরপর সকাল ১০ টায় নেওয়া হয় দীর্ঘদিনের কর্মস্থল নজরুল ইনস্টিটিউটে। সেখানে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো শেষে মরদেহ শহীদ মিনারে নেওয়া হয়।
সুধীন দাশের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে শ্রদ্ধা জানান মুখ্য সচিব কামাল আবদুর নাসের চৌধুরী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। এছাড়াও বিভিন্ন অঙ্গনের ব্যক্তিরা সুধীন দাশের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এদিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সুধীন দাশের মরদেহ পোস্তগোলা মহাশ্মশানে শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে।
প্রসঙ্গত, সুধীন দাশ বাংলাদেশের একজন সংগীতজ্ঞ এবং সংগীত গবেষক। বাংলা সংগীতের ক্ষেত্রে যারা বিশেষ অবদান রেখেছেন তিনি তাদের মধ্যে অন্যতম। সংগীতের প্রতিটি শাখায় তিনি সদর্পে বিচরণ করে নিজেকে একটি প্রতিষ্ঠানে পরিনত করেছেন।
সুধীন দাশ এ পর্যন্ত নজরুল ইনস্টিটিউট থেকে ১৬টি ও নজরুল একাডেমি থেকে ৫টিসহ মোট ২১টি খণ্ডের নজরুলের গানের স্বরলিপি গ্রন্থ বের করেছেন। লালনগীতির ক্ষেত্রেও তার অবদান সর্বজন স্বীকৃত। তিনিই প্রথম লালনগীতির স্বরলিপি গ্রন্থ প্রকাশ করেছেন।
সুধীন দাশ জীবনের পুরোটাই দিয়েছেন গানের পেছনে। গান গেয়েছেন সুর করেছেন, কাজ করেছেন সংগীত পরিচালক হিসেবে, গবেষণা তো বটেই। বাংলা গানের ধ্রুবতারা কাজী নজরুল ইসলামের সৃষ্টিকে শ্রোতার কাছে শুদ্ধরূপে পৌঁছে দেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজটি তিনিই করেছেন।