নায়করাজের কুলখানি শুক্রবার

 রাজ্জাক (১৯৪২-২০১৭)নায়করাজ রাজ্জাকের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার (২৩ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। বাবাকে শেষ বিদায় জানাতে আজ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কানাডা থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছান বাপ্পী। এরপরই নায়করাজের দাফন সম্পন্ন করা হয়।

এদিকে পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আগামী শুক্রবার  (২৫ আগস্ট) কুলখানির আয়োজন করা হয়েছে।

নায়করাজের ছোট ছেলে সম্রাট বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আগামী শুক্রবার বাদ আসর গুলশানের আজাদ মসজিদে মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠিত হবে।’

রাজ্জাকের কবরের পাশে তার দুই ছেলে বাপ্পারাজ ও বাপ্পি

প্রসঙ্গত, সোমবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা ১৩ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রাজ্জাক। ষাটের দশকের মাঝামাঝি থেকে এফডিসিই ছিল রাজ্জাকের কর্মস্থল। সত্তরের দশকে এখানকার ফ্লোরগুলো চাঙা থাকতো তার সুবাদেই। নায়করাজের সিনেমার শুটিং হলো জমজমাট হতো ফ্লোরগুলো। দিনে দিনে ‘নীল আকাশের নিচে’, ‘পিচঢালা পথ’ পেরিয়ে তিনি হয়ে উঠেছিলেন দেশীয় চলচ্চিত্রের ‘রংবাজ’।কবরে শায়িত নায়করাজ

সারাজীবন চলচ্চিত্র নিয়েই থেকেছেন রাজ্জাক। অভিনয়ের পাশাপাশি এফডিসি তাকে পেয়েছে পরিচালক-প্রযোজক হিসেবেও। ‘অনন্ত প্রেম’, ‘বদনাম’, ‘অভিযান’, ‘বাবা কেন চাকর’, ‘প্রফেসর’, ‘যোগাযোগ’, ‘সৎ ভাই’ পরিচালনা করে নিজের মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন তিনি। তার প্রযোজনা সংস্থা রাজলক্ষ্মী প্রোডাকশন থেকে তিনি উল্লেখযোগ্য কিছু ছবি নির্মাণ করেছিলেন।