৩৫ বছর পর আবার ‘ব্লেড রানার’

‘ব্লেড রানার’ (১৯৮২) ও ‘ব্লেড রানার ২০৪৯’ ছবিতে হ্যারিসন ফোর্ডআশির দশকের কথা। হলিউডে ১৯৮২ সালে মুক্তির পর সাড়া জাগায় ‘ব্লেড রানার’। প্রায় তিন যুগ পর তৈরি হলো এর নতুন পর্ব ‘ব্লেড রানার ২০৪৯’। এ ছবির প্রধান চরিত্র লসঅ্যাঞ্জেলেস পুলিশ ডিপার্টমেন্টের অফিসার ‘কে’ লেখা হয়েছে হলিউড তারকা রায়ান গসলিংয়ের কথা মাথায় রেখে। মানবসভ্যতাকে ধ্বংস করে দিতে পারে এমন এক অশুভ রহস্য উদ্ঘাটন করে সে। এই আবিষ্কার তাকে নিয়ে যায় সাবেক ব্লেড রানার রিক ডেকার্ডের কাছে, যে ৩০ বছর আগে লোকচক্ষুর আড়ালে চলে গিয়েছিল।

‘ব্লেড রানার ২০৪৯’ ছবির পোস্টারএই গল্প নিয়ে ৩৫ বছর পর ফিরে আসছে ‘ব্লেড রানার’। এবারের ছবির নাম ‘ব্লেড রানার ২০৪৯’। এতেও রিক ডেকার্ড চরিত্রে অভিনয় করেছেন হলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা হ্যারিসন ফোর্ড। আর ‘কে’র ভ‚মিকায় আছেন রায়ান গসলিং। ওয়ার্নার ব্রাদার্স পিকচার্সের পরিবেশনায় যুক্তরাষ্ট্রে ও কলাম্বিয়া পিকচার্সের পরিবেশনায় বিশ্বব্যাপী শুক্রবার (৬ অক্টোবর) মুক্তি পাচ্ছে ‘ব্লেড রানার ২০৪৯’। বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে এদিন বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সেও মুক্তি পাবে এটি।
‘ব্লেড রানার’ যেখানে শেষ হয়েছিল, তারও প্রায় কয়েক যুগ পরের ঘটনাবলী নিয়ে নতুন ছবির গল্প। এতে আরও অভিনয় করেছেন বারখাদ আবদি, আনা ডি আরমাস, ম্যাকেঞ্জি ডেভিস, সিলভিয়া হোয়েকস, কার্লা জুরি, ডেভিড ডেস্টামালশিয়ান। মজার ব্যাপার হলো, ‘ব্লেড রানার’ ছবি মুক্তির সময় এই তারকাদের কারও জন্মই হয়নি! অন্যান্য চরিত্রে দেখা যাবে লেনি জেমস, রবিন রাইট, ডেভ বাউতিস্তা ও জারেড লেটোকে। সায়েন্স ফিকশন ধাঁচের নতুন ছবিটি পরিচালনা করেছেন কানাডিয়ান নির্মাতা ডেনিস ভিলেন্যুভ। আগামী ৬ অক্টোবর মুক্তি পাবে ‘ব্লেড রানার ২০৪৯’। ‘ব্লেড রানার’-এর পরিচালক রিডলি স্কট এবার দায়িত্ব পালন করেছেন নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে। তার লেখা একটি গল্পের ওপরই তৈরি হয়েছে সিক্যুয়েলটি। 

* ‘ব্লেড রানার ২০৪৯’ ছবির ট্রেলার: 


এদিকে স্টার সিনেপ্লেক্সে শুক্রবার মুক্তি পাচ্ছে ব্রিটেনের রানী ভিক্টোরিয়ার রানী ভিক্টোরিয়ার সঙ্গে তারই দাস আবদুল করিমের বন্ধুত্ব নিয়ে সাজানো ‘ভিক্টোরিয়া অ্যান্ড আবদুল’। তাদের সম্পর্ক নিয়ে মানুষের মধ্যে কৌতূহলের কমতি নেই। আজও রহস্য হয়েই আছে বিষয়টি। স্টিফেন ফ্রিয়ার্সের পরিচালনায় ছবিটিতে দেখা যাবে তাদের জীবনের কিছু অজানা ঘটনা। রানী ভিক্টোরিয়া ও আবদুল করিমের গল্প নিয়ে ২০১০ সালে ‘ভিক্টোরিয়া অ্যান্ড আবদুল: দ্য ট্রু স্টোরি অব দ্য কুইন ক্লোজেস্ট’ নামে একটি বই প্রকাশ করেন ভারতীয় লেখিকা শ্রাবণী বসু। তার লেখা বইটি অবলম্বনে তৈরি হয়েছে এ ছবি। এতে ভিক্টোরিয়ার চরিত্রে জুডি ডেঞ্চ আর আবদুল করিমের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন আলি ফজল।
১৮৮৭ সালে ২৪ বছর বয়সী সুদর্শন আবদুল করিম প্রথম ইংল্যান্ডে পা রাখেন। তখন রানী ভিক্টোরিয়ার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারত থেকে যে দু’জন সহকারি নেওয়া হয়েছিল আবদুল করিম ছিলেন তাদের একজন। কিছুদিনের মধ্যেই রানীর প্রিয়ভাজন হয়ে ওঠেন তিনি। রানী কোথাও ভ্রমণে গেলে পরিবার ও রাজপ্রতিনিধিদের আপত্তি সত্তে¡ও আবদুল করিমকে সঙ্গে নিতেন।
রানীর সঙ্গে তার এই অপ্রত্যাশিত সুসম্পর্ক নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন রাজপরিবারের অনেকে। এ নিয়ে অনেক গুঞ্জন ডালপালা মেলে। বিষয়টা অনেকভাবে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টাও করা হয়েছিল। তাদের সম্পর্কের কথা পরবর্তীতে জানা যায় আবদুল করিমের একটি ডায়েরি থেকে।
১৯০১ সালে রানী ভিক্টোরিয়ার মৃত্যুর পর ভারতে পাঠিয়ে দেওয়া হয় আবদুল করিমকে। এরপর বাকি জীবন আগ্রার কাছে একটি জায়গায় নিভৃতে বসবাস করেন তিনি। তার জন্য এ জায়গার বন্দোবস্ত করে দিয়ে যান রানী ভিক্টোরিয়াই। ১৯০৯ সালে ৪৬ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন আবদুল করিম। 

* ‘ভিক্টোরিয়া অ্যান্ড আবদুল’ ছবির ট্রেলার: