‘ঢাকা অ্যাটাক’-এর পরিবেশনা সংস্থা অভি কথাচিত্র জানিয়েছে, শুক্রবার সারাদেশে টিকিট বিক্রি থেকে এসেছে সাড়ে চার কোটি টাকারও বেশি। এর মধ্যে নেট সেল ১ কোটি ৫ লাখ টাকা।
পরিচালক দীপঙ্কর দীপন জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে মধুমিতা প্রেক্ষাগৃহের মালিক ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ ফোন করে অভিনন্দন জানান তাকে। প্রথম দিনেই তিনটি শো হাউসফুল হয়েছে। তাদের চোখে এটা রেকর্ড।
শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে পরিচালককে বলাকা সিনেমা হলের ম্যানেজার জানান, সাধারণত যে কোনও ছবি মুক্তির পরদিন টিকিট বিক্রি পড়ে যায়। কিন্তু এদিন আরও বেড়েছে! অভি কথাচিত্রের তথ্য অনুযায়ী— বলাকা থেকে টিকিট বিক্রয় প্রতিনিধি তাদের জানিয়েছেন, সকালের শো হাউসফুল।
সারাদেশে ১২২টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ‘ঢাকা অ্যাটাক’। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রেক্ষাগৃহের মালিক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সবখানেই ‘ঢাকা অ্যাটাক’ দেখতে দর্শকের ঢল নেমেছে। রাজধানীর স্টার সিনেপ্লেক্স, বলাকা, শ্যামলীসহ বেশ কয়েকটি প্রেক্ষাগৃহ হাউসফুল থাকায় টিকিট না পেয়ে ফিরে যেতে হয়েছে অনেককে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছবিটি প্রসঙ্গে ভূয়সী প্রশংসা করছেন দর্শকরা। গত বছর মুক্তিপ্রাপ্ত ‘আয়নাবাজি’র ব্যবসায়িক সাফল্যকে ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
‘ঢাকা অ্যাটাক’কে বলা হচ্ছে দেশের প্রথম পুলিশ অ্যাকশন থ্রিলার। বোম নিষ্ক্রিয় ইউনিটের সদস্য, পুলিশ কমিশনার, সোয়াট ও গোয়েন্দা কর্মকর্তা, সাংবাদিক সব ধরনের চরিত্রই আছে ছবিটিতে। অ্যাকশন দৃশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে পুলিশের ব্যবহৃত ৪৫ পাউন্ড ওজনের বোমা স্কোয়াডের বিশেষ পোশাক ও পাঁচ কিলোগ্রাম ওজনের হেলমেট। এর পরিচালক দীপংকর দীপন দেড় যুগ ধরে নাটক ও ডকুমেন্টারি নির্মাণ করে হাত পাকিয়েছেন। ‘ঢাকা অ্যাটাক’ তার প্রথম ছবি। একদল চৌকস পুলিশের শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান নিয়ে সাজানো হয়েছে এটি।
ছবিটির মূল ভাবনা ও কাহিনি রচনা করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি সানী সানোয়ার। ‘ঢাকা অ্যাটাক’ যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে স্প্ল্যাশ মাল্টিমিডিয়া, ঢাকা পুলিশ পরিবার কল্যাণ সমিতি লি. ও থ্রি-হুইলারস লি।