গলফ খেলা থেকে শুরু করে নাচ শেখা, চীনের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়, ঘুরে বেড়ানো, চীনা সংস্কৃতি উপভোগসহ হরেক রকম অভিজ্ঞতা হচ্ছে প্রতিযোগীদের। আদতে মিস ওয়ার্ল্ডকে সব ধরনের আয়োজনে অংশ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে হয়। সেজন্যই আয়োজকরা বৈচিত্রের কমতি রাখছেন না।
এবার শেনজেন শহরের পিপল’স কংগ্রেস ও নারী উদ্যোক্তাদের সঙ্গে একদিন কাটলো জেসিয়ার। দেখা-সাক্ষাতের সঙ্গে হলো আড্ডাও। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ১২০ সুন্দরী গিয়েছিলেন শেনজেন নারী উদ্যোক্তা ফোরামের কার্যালয়ে। এখানে তাদের সঙ্গে কথোপকথনে অংশ নিতে পেরে আয়োজক আর অতিথিরাও উচ্ছ্বসিত।
মঙ্গলবারের (২৪ অক্টোবর) এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মিস ওয়ার্ল্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও চেয়ারম্যান জুলিয়া মোরলে। ছবি তোলা শেষে জেসিয়াসহ সব প্রতিযোগীকে দৌড়াতে হয়েছে হোটেলে। এরপরই তারা তৈরি হতে থাকেন সন্ধ্যায় ‘ড্যান্সেস অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ সেগমেন্টের মহড়ার জন্য।
এর আগে গত ২৩ অক্টোবর জেসিয়াসহ সব প্রতিযোগী ঘুরে বেড়িয়েছেন শেনজেন শহরের পূর্বাঞ্চলে ওভারসিস চাইনিজ টাউনে। ঘোরাঘুরির পর ওসিস ও. সিটির মঞ্চে শেনজেন থিয়েটারের পরিবেশনায় চীনের বৈচিত্রময় সংস্কৃতি উপভোগ করেন তারা।
এদিকে বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতার অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হয়েছে ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ ২০১৭’ জেসিয়া ইসলামের পরিচিতি ভিডিও। এরও কিছুদিন আগে মিস ওয়ার্ল্ড-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যুক্ত হয় লাল-সবুজের এই তরুণীর ছবি। তার মধ্য দিয়ে ১৬ বছর পর বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশের কোনও সুন্দরী।
আগামী ৩১ অক্টোবর শিমেলং ওশান কিংডমে হবে এবারের আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। আর কার মাথায় যাবে বিশ্বসুন্দরীর মুকুট সেই ফয়সালা হবে আগামী ১৮ নভেম্বর। ওইদিন চীনের সানাইয়া সিটি এরেনায় হবে মিস ওয়ার্ল্ড ফাইনাল। নতুন মিস ওয়ার্ল্ডের মাথায় মুকুট পরিয়ে দেবেন বর্তমান বিশ্বসুন্দরী স্টেফানি দেল ভালে।