ছোট পর্দার সেই উজ্জ্বল এবার নিজের অন্য উজ্জ্বলতা প্রকাশ করতে পা ফেলেছেন বড় পর্দার দিকে। নির্মাণ শুরু করেছেন প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। নিজের চিত্রনাট্যে এর নাম দিয়েছেন ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’। এরমধ্যে বেশিরভাগ শুটিং শেষ হলেও এখনই সিনেমার পাত্র-পাত্রীর খবর প্রকাশ করতে নারাজ তিনি।
তার ভাষায়, ‘আগে পুরো শুটিং শেষ হোক। তবেই সব বিস্তারিত বলবো। তাছাড়া পাত্র-পাত্রীর চেয়ে আমার মূল ফোকাসের বিষয় গল্প বলায়। সবাই মিলে মন দিয়ে সেই কাজটিই করে চলেছি। তাই কথা কম।’
উজ্জ্বল জানান, চলতি ডিসেম্বরের মধ্যেই পুরো শুটিং শেষ করছেন। পাশাপাশি সিনেমাটি মুক্তি দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে নতুন বছরের প্রথমার্ধে। সম্ভাব্য তারিখ ১৪ এপ্রিল।
‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ এর নামকরণ ও ধরন প্রসঙ্গে মাসুদ হাসান উজ্জ্বল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘‘সবার জীবনেই কিছু অনুভূতি থাকে যা ভাষা, প্রতীক বা শব্দে প্রকাশ করা যায় না। অনুভবগুলো অনুভূত হতে হতেই যেন তার প্রকাশের আকৃতি বদলে যায়। এই রকম অনুভূতির ইংরেজি তর্জমা হতে পারে- ইনকমপ্লিট ব্রেথ। এই অসম্পূর্ণ প্রশ্বাসের চলচ্চিত্র ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’। গল্পটা প্রেমের, যে প্রেম কোলাহলকে পরিণত করতে পারে নির্জনতায়।’’
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান রেড অক্টোবরের ব্যানারে ছবিটি প্রযোজনা করেছেন আসিফ হানিফ, নির্বাহী প্রযোজকের দায়িত্বে আছেন সৈয়দা শাওন।
পরিচালনার পাশাপাশি ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’-এর কাহিনি, সংলাপ, চিত্রনাট্য, শিল্প নির্দেশনা এবং সংগীত পরিচালনা করছেন মাসুদ হাসান উজ্জ্বল নিজেই।
তার পরিচালিত নাটকের মধ্যে অন্যতম হলো- ছায়াফেরী, যে জীবন ফড়িং এর, থতমত এই শহরে, অর্থহীন মানিপ্ল্যান্ট, কাগজ কার্বনের সম্মোহন, কালো বরফ জমাট অন্ধকার, ধুলোর মানুষ মানুষের ঘ্রাণ, অক্ষয় কোম্পানির জুতা, ফসিলের কান্না প্রভৃতি।