বাবার সুরে ছুঁয়ে দেবো গোটা পৃথিবী

শহীদ আলতাফ মাহমুদ চত্বরে শাওন মাহমুদফেব্রুয়ারি মাস। সারা বছর ধরে অপেক্ষায় থাকা আমার প্রিয় মাস। এ মাসে যখন তখন বাবার সঙ্গে দেখা হয়ে যায় আমার। একুশের গান বেজে উঠলেই বাবা এসে পাশে দাঁড়ান।

তখন তাঁকে ছুঁয়ে দিয়ে যাই আমি। সেই স্পর্শের হাত ধরে চলতে থাকে বাবা কন্যার লুকোচুরি খেলা।
তাঁর ঐশ্বরিক সুরের লয়ে চলতে চলতে, একুশে ফেব্রুয়ারি আসে। কোটি কোটি কণ্ঠে সেই সুর সারাটা দিনে জমা হতে হতে এক সময় পুরো বাংলাদেশই বাবা হয়ে যায়। একুশের গান আর বাংলাদেশ এক অপার্থিব অনুভবের সন্ধিমালা।
ভাবতে ভালো লাগে, দেশ ছাড়িয়ে এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসেও সারাবিশ্বের অন্যান্য বেশ কিছু দেশেও একুশে ফেব্রুয়ারি পালন করা হয়।
আমি বিশ্বাস করি, আমার জীবনকালের একসময় একুশে ফেব্রুয়ারি সারাবিশ্ব পালন করবে, তাদের নিজ নিজ মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানাতে। তখন পুরো পৃথিবীর মানুষ একসঙ্গে একুশের গান গেয়ে উঠবো। পুরো বিশ্বের একুশে ফেব্রুয়ারি তখন আমার কাছে ‘বাবা’ হয়ে যাবে।
বাবার সুরে আমি ছুঁয়ে দেবো গোটা পৃথিবী।

আলতাফ মাহমুদের ‘একুশের গান’ পরিবেশন করছেন শাওন মাহমুদ ও ব্যান্ড অবসকিওর: