কান উৎসবে বাংলাদেশের ‘মেঘে ঢাকা’

মেঘে ঢাকা’র একটি দৃশ্যবিশ্ব চলচ্চিত্রের সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন আয়োজন কান চলচ্চিত্র উৎসবে এবার অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মেঘে ঢাকা’। উৎসবের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের শর্ট ফিল্ম কর্নারের ক্যাটালগে যুক্ত হয়েছে এর সংক্ষিপ্ত তথ্য ও পোস্টার।
আয়োজকরা উল্লেখ করেছেন, ‘মেঘে ঢাকা’ মনজুরুল আলমের প্রথম ছবি। কানের শর্ট ফিল্ম কর্নারেই এর ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হবে।
‘মেঘে ঢাকা’র ইংরেজি নাম ‘লাইফ উইদাউথ সান’। এটি পরিচালনা করেছেন মনজুরুল আলম। এর গল্প আর চিত্রনাট্যও তারই। নিজের ছবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের ওপর যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে, একটি মানবিক গল্পের মাধ্যমে সেই বার্তা তুলে ধরতে চেয়েছি।’
১১ মিনিট ব্যাপ্তির এ ছবির মূল চরিত্র সুবিধাবঞ্চিত শিশু হাবু। সে গ্রামের তাঁত শ্রমিক। প্যারালাইজড বাবাকে নিয়েই তার পৃথিবী। হঠাৎ ঘূর্ণিঝড়ে তাঁত শিল্প এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। গ্রামে বেঁচে থাকার অবলম্বন না দেখে বাবাকে নিয়ে হাবু কাজের সন্ধানে ঢাকায় আসে। কিন্তু শহরে এসেও রোদ্দুরের দেখা মেলে না হাবুর। রাজধানীতেও বাবাকে নিয়ে নতুন ঝড়ের মুখোমুখি হয় সে। হাবু চরিত্রে অভিনয় করেছেন হাবিব অরিন্দ্য।
মেঘে ঢাকা’র পোস্টার (বামে) ও কান উৎসবের ডিজিটাল ক্যাটালগএর আগে টিভি নাটক পরিচালনা করে হাত পাকিয়েছেন নির্মাতা মনজুরুল আলম। কান উৎসব প্রসঙ্গে তিনি বললেন, ‘৭১তম আসরের শর্ট ফিল্ম কর্নারে ছবিটি জমা দিয়েছিলাম। এই কর্নারে দেখানোর জন্য আয়োজকরা আমার ছবি নির্বাচন করেছেন। এজন্য আমি উচ্ছ্বসিত।’
ছবিটির শুটিং হয়েছে পাবনার আটঘরিয়া, ঢাকার হাতিরঝিল, তেজগাঁও রেল স্টেশন, ফার্মগেটসহ বিভিন্ন স্থানে। এর সম্পাদনা করেছেন সবুজ খান। শব্দসজ্জা করেছেন রিপন নাথ। ফিল্মিয়ানা প্রোডাকশনের ব্যানারে ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছেন জনি হক ও মনজুরুল আলম।
এদিকে বাংলাদেশ থেকে এবারের আসরে জসিম আহমেদের ‘অ্যা পেয়ার অব স্যান্ডেল’ও অংশ নিচ্ছে কানের শর্ট ফিল্ম কর্নারে। এর বিষয়বস্তু রোহিঙ্গাদের মানবেতর জীবনযাপন।