নীলফামারীতে জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মেলন শুরু

ছবি: বাংলা ট্রিবিউননীলফামারীতে শুরু হলো ৩৭তম জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মেলন। শুক্রবার (৯ মার্চ) বিকাল ৪টার দিকে এই সম্মেলন উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি।
নীলফামারী সরকারি হাইস্কুল মাঠে তিন দিনব্যাপী চলবে এই সম্মেলন।
সম্মেলনকে ঘিরে জেলা শহরের বিভিন্ন দেয়ালে লেগেছে রং-তুলির আঁচড়। শোভা পেয়েছে বঙ্গবন্ধু, বিশ্বকবি, জাতীয় কবির ছবি।
সম্মেলনে তিন দিনের কর্মসূচিতে রয়েছে বোধনসঙ্গীত, প্রদীপ প্রজ্বালন, রবিরশ্মি, আবৃত্তি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নৃত্যানুষ্ঠান, শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন, প্রতিনিধি সম্মেলন, গুণীজন সম্মাননা ও রবীন্দ্র পদক প্রদান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেছেন জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মেলন পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি সনজীদা খাতুন আর পরিচালনা করেছেন সাধারণ সম্পাদক বুলবুল ইসলাম।
এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিশ্বজিৎ ঘোষ।
ছবি: বাংলা ট্রিবিউনজাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মেলন উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও নীলফামারী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ দেবী প্রসাদ রায় বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘তিন দিনের আয়োজনে সারাদেশ থেকে প্রায় আট শতাধিক সংস্কৃতিকর্মী ও গুণীজন এতে অংশগ্রহণ করছেন। এখানে শুধু রবীন্দ্রসঙ্গীতই নয়, নজরুল, সুকান্ত, অতুল প্রসাদ, লালন ও ভাওয়াইয়া গানও পরিবেশিত হবে।’
নীলফামারী জেলা কমিটির সভাপতি ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক আহসান রহীম মঞ্জিল বলেন, ‘সম্মেলনটি একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ গঠনের নমুনা। সাধারণ মানুষ গণতন্ত্রের চেতনা ও রবীন্দ্র চেতনায় উজ্জীবিত হবেন এই সম্মেলনের মাধ্যমে।’
সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মানুষ সচেতন হলে কুসংস্কার, সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতাসহ সকল ধরনের কর্মকাণ্ড দূর হবে। মানবিক মূল্যবোধ ও আলোকিত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে রবীন্দ্র সম্মেলনের বিকল্প নেই।’ছবি: বাংলা ট্রিবিউন