শুনানির সময় আদালতে চত্বরে সালমান শাহ’র মা নীলা চৌধুরীসহ ভক্তরা হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী বলেছেন, ‘আমরা আজ আদালতে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ও ডোমকে সাক্ষী হিসেবে গ্রহণের জন্য আদালতে আবেদন করেছি। বিচারক তা মঞ্জুরের মাধ্যমে প্রতিবেদনটি জমার জন্য আগামী ২০ আগস্ট নতুন তারিখ ধার্য করেন।’
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর ইস্কাটন রোডে নিজের বাসা থেকে সালমান শাহ’র লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনাকে প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা উল্লেখ করে পুলিশ একটি অপমৃত্যুর মামলা করলেও তার পরিবার বিষয়টিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে অভিযোগ করে।
ঘটনার পর বেশ কয়েকবার আত্মহত্যা উল্লেখ করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হলেও সালমানের পরিবার তাতে নারাজি আবেদন করে পুনঃতদন্ত চায়। প্রায় ১৮ বছর আগের এই মৃত্যুর ঘটনা হত্যা নাকি আত্মহত্যা, তা নির্ধারণে এ বছরের জানুয়ারিতে মামলাটি আবারও আদালতে ওঠে।
পরে মামলার তদন্ত দেওয়া হয় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নকে (র্যাব)। বেশ কয়েকবার শুনানি নিয়ে ২০১৬ সালের ১৯ মে মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা বিব্রত বোধ করে ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে মামলার নথি পাঠিয়ে দেন। এ আদালতের বিচারক মো. ইমরুল কায়েস ওই বছরের ২১ অগাস্ট র্যাবের মাধ্যমে পুনঃতদন্তের (অধিকতর) আদেশ আইনসম্মত হয়নি উল্লেখ করে বিষয়টি আবারও শুনানি নেওয়ার জন্য ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমকে দায়িত্ব দেন। এর ধারাবাহিকতায় মহানগর হাকিম লস্কর সোহেল রানা নারাজি আবেদনের ওপর আবারও শুনানি নেন।
গত ৭ ডিসেম্বর শুনানির পর সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনা হত্যা না আত্মহত্যা, তা নির্ধারণের জন্য র্যাবের পরিবর্তে পিবিআইকে দায়িত্ব দেন।