এবারের বিজয়ী মেক্সিকান সুন্দরী ভ্যানেসার মাথায় মুকুট পরিয়ে দেন গতবারের বিশ্বসুন্দরী ভারতের মানুষি চিল্লার।
নতুন মিস ওয়ার্ল্ড হিসেবে ভ্যানেসার নাম ঘোষণা করেন মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতার সিইও ও চেয়ারম্যান জুলিয়া মর্লে। এবারই প্রথম মেক্সিকোর কোনও সুন্দরী এই খেতাব পেলেন। তাই ইতিহাসে ঢুকে গেলেন ২৬ বছর বয়সী এই মেক্সিকান।
মিস ওয়ার্ল্ডের গত আসরে ভারতের মানুষি চিল্লারের শ্রেষ্ঠত্বে মেক্সিকোর আন্ড্রিয়া মেজাকে রানারআপের স্বীকৃতি নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়। টিভিতে নিশ্চয়ই সেটা দেখেছিলেন ভ্যানেসা পন্তে দেলেওন। সেই মানুষির হাতেই বিশ্বসুন্দরীর মুকুট পরলেন মেক্সিকান এই রূপসী।
মিস ওয়ার্ল্ডের ইতিহাসে ২০০৫ আর ২০০৯ সালেও প্রথম রানারআপ হয় মেক্সিকো। ২০০৭ সালে দ্বিতীয় রানারআপ ও ১৯৭৭ সালে তৃতীয় রানারআপ হয় দেশটি।
গোয়ানাকোয়াতো ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক ব্যবসায় ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন ভ্যানেসা। মানবাধিকারে তার ডিপ্লোমা আছে। নেনেমি স্কুলের সঙ্গে মিলে আদিবাসী উপজাতি শিশুদের জন্য আন্তঃসাংস্কৃতিক শিক্ষাদানের কাজ করেন তিনি। এখন নারী ও স্বেচ্ছাসেবী অভিবাসীদের জন্য একটি পুনর্বাসন কেন্দ্র পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে যুক্ত ভ্যানেসা। মডেল ও উপস্থাপক হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা আছে তার। ন্যাশনাল ইয়ুথ ইনস্টিটিউটের বক্তা তিনি। ওয়াটার স্কুবা ডাইভার হিসেবে পারদর্শী তিনি। ভলিবল খেলা ও ছবি আঁকায় ভালো লাগা আছে তার। ভ্যানেসার ব্যক্তিগত আদর্শ, ‘আমাদের সবাইকে সবার প্রয়োজন।’
এরপর মহাদেশ অনুযায়ী সেরা (মিস ওয়ার্ল্ড কন্টিনেন্টাল কুইনস) হয়েছে বেলারুশ (ইউরোপ), জ্যামাইকা (ক্যারিবীয়), মেক্সিকো (আমেরিকা), উগান্ডা (আফ্রিকা) ও থাইল্যান্ড (এশিয়া ও ওশেনিয়া)। তবে ভ্যানেসা বিশ্বসুন্দরী হয়ে যাওয়ায় আমেরিকা মহাদেশের সেরা নির্বাচিত হয় পানামা।
এবারের প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হয়েছেন থাইল্যান্ডের নিকোলিন পিচাপা লিমসনুকান। ফাইনালে সবশেষে ছিল আমেরিকার গ্র্যামি মনোনীত সিস্টার স্লেজের পরিবেশনায় তাদের ১৯৭৯ সালের হিট গান ‘উই আর ফ্যামিলি’।
বিশ্বসুন্দরীর এই আসরটি দেখা যাবে এই লিংকে: