চিত্রকর আনোয়ার হোসেনের শেষ চলচ্চিত্র

‘ভালোবাসা’র একটি দৃশ্য১ ডিসেম্বর না ফেরার দেশে চলে যান কিংবদন্তি চিত্রকর আনোয়ার হোসেন। মূল পরিচিতি আলোকচিত্রী হলেও চলচ্চিত্র সিনেমাটোগ্রাফার হিসেবেও তাঁর খ্যাতি কম নয়।
সূর্যদীঘল বাড়ী (১৯৭৯), এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী (১৯৮০), পুরস্কার (১৯৮৩), অন্য জীবন (১৯৯৫), লালসালু (২০০১)- এমন অনেক নন্দিত চলচ্চিত্র তাঁর ক্যামেরার ফ্রেমে ধারণ হয়েছে। স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন একাধিক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
সেলুলয়েডের বর্ণাঢ্য এক ক্যারিয়ার পেরিয়ে জীবনের শেষ ছবিটি না দেখেই চলে গেলেন ওপারে। অকাল মৃত্যুর কিছুদিন আগে শেষ করে গেছেন ‘ভালোবাসা’ নামের একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের সিনেমাটোগ্রাফির কাজ।  
আদ্রিতা মুভিজ প্রযোজিত এবং প্ল্যাটফর্ম মিডিয়া অ্যান্ড মার্কেটিং পরিবেশিত এই চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন শুভ্রা গোস্বামী। শহীদুল জহিরের গল্প অবলম্বনে এর চিত্রনাট্য তৈরি করেছেন শাওন কৈরী।
প্রায় ১৫ মিনিট ব্যাপ্তির এই চলচ্চিত্রটির উল্লেখযোগ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন দীপক সুমন, মৌসুমী হামিদ ও শিশুশিল্পী স্লোগান। সংগীত পরিচালনা করেছেন পিন্টু ঘোষ।
চিত্রকর আনোয়ার হোসেনআজ (২১ ডিসেম্বর) ছবিটির প্রিমিয়ার হতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে, সন্ধ্যা ৬টায়।
নির্মাতা শুভ্রা গোস্বামী বলেন, ‘‘বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক সদ্য প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন এই ছবিটির চিত্রগ্রহণ করেছেন। এটিই তাঁর ধারণকৃত সর্বশেষ চলচ্চিত্র। তাই প্রিমিয়ার অনুষ্ঠানে ‘ভালবাসা’ চলচ্চিত্রটিকে আনোয়ার ভাইয়ের প্রতি উৎসর্গ করবো। তাঁর বর্ণিল কর্মজীবনের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে শুরু হবে প্রিমিয়ার অনুষ্ঠান। পরে দেখানো হবে ‘ভালোবাসাও।’’
শুভ্রা আরও জানান, প্রিমিয়ারে আনোয়ার হোসেনের জীবন ও কর্ম নিয়ে স্মৃতিচারণ ও আলোচনা করবেন বাংলাদেশের গুণী চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বগণ। এই পর্বে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কালজয়ী চলচ্চিত্র ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’র অন্যতম নির্মাতা মশিহউদ্দিন শাকের।
‘ভালোবাসা’র প্রিমিয়ার শো সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।‘ভালোবাসা’র আরেকটি দৃশ্য