তাঁদের স্মরণে প্রাচ্যনাটের ভিন্ন আয়োজন

আমজাদ হোসেন, আনোয়ার হোসেন ও সাইদুল আনাম টুটুলসম্প্রতি কাছাকাছি সময়ে প্রয়াত হয়েছেন বাংলা চলচ্চিত্রের তিন নন্দিতজন- আনোয়ার হোসেন, আমজাদ হোসেন ও সাইদুল আনাম টুটুল। এ তিনজন মানুষ বাংলা চলচ্চিত্রকে সমৃদ্ধ করেছেন অকাতরে, জীবনের শেষ পর্যন্ত।
ক্যামেরার পেছনে কাজ করা এই তিনজন মানুষকে একটু আলাদা আবহে স্মরণ করার আয়োজন করেছে দেশের প্রথম সারির নাট্যদল প্রাচ্যনাট।
২২ ডিসেম্বর, শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলের লবিতে বসবে এই স্মরণ-উৎসব। এখানে দলটির সদস্যরা পরিবেশন করবেন মিউজিক্যাল ইম্প্রোভাইজেশন পারফরম্যান্স ‘খাঁচা ভাঙার গান’।  
এছাড়াও সন্ধ্যা ৭টায় জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে প্রদর্শিত হবে প্রাচ্যনাটের নাটক ‘সার্কাস সার্কাস’। এই প্রদর্শনীটিও প্রথিতযশা চলচ্চিত্র পরিচালক-অভিনেতা আমজাদ হোসেন, চিত্রগ্রাহক আনোয়ার হোসেন এবং চলচ্চিত্র পরিচালক-সম্পাদক সাইদুল আনাম টুটুলের স্মৃতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হবে।
বিষয়গুলো বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন প্রাচ্যনাটের প্রযোজনা সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জার্নাল।
১ ডিসেম্বর না ফেরার দেশে চলে যান কিংবদন্তি চিত্রকর আনোয়ার হোসেন। মূল পরিচিতি আলোকচিত্রী হলেও চলচ্চিত্র সিনেমাটোগ্রাফার হিসেবেও তাঁর খ্যাতি কম নয়। সূর্য দীঘল বাড়ী (১৯৭৯), এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী (১৯৮০), পুরস্কার (১৯৮৩), অন্য জীবন (১৯৯৫), লালসালু (২০০১)—এমন অনেক নন্দিত চলচ্চিত্র তাঁর ক্যামেরার ফ্রেমে ধারণ হয়েছে।
১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৫৭ মিনিটে ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেন। তাঁর নির্মিত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘বাল্যবন্ধু’, ‘পিতাপুত্র’, ‘এই নিয়ে পৃথিবী’, ‘বাংলার মুখ’, ‘নয়নমণি’, ‘সুন্দরী’, ‘কসাই’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’, ‘দুই পয়সার আলতা’, ‘সখিনার যুদ্ধ’, ‘ভাত দে’, ‘হীরামতি’, ‘প্রাণের মানুষ’, ‘সুন্দরী বধূ’, ‘কাল সকালে’, ‘গোলাপী এখন ঢাকায়’, ‘গোলাপী এখন বিলেতে’ প্রভৃতি।
১৮ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ৩টার দিকে না ফেরার দেশে চলে যান নন্দিত নির্মাতা ও সম্পাদক সাইদুল আনাম টুটুল। চলচ্চিত্র সম্পাদক হিসেবে তিনি ‘সূর্য দীঘল বাড়ী’ ছাড়াও সম্পাদনা করেন সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকীর ‘ঘুড্ডি’, শেখ নিয়ামত আলীর ‘দহন’, মোরশেদুল ইসলামের ‘আগামী’, ‘দুখাই’, ‘দীপু নাম্বার টু’ প্রভৃতি। ২০০৩ সালে তিনি নির্মাণ করেন তাঁর প্রথম চলচ্চিত্র ‘আধিয়ার’।

তিনজনই কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন একাধিক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।