ডিটার কোসলিক বিরতিহীন ১৮ বছর বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের দায়িত্ব পালন করেছেন, এ বছরই তাঁর অবসর। বয়স হয়েছে।
কেবল আলিয়া ভাট, রনবীর সিং নন, উৎসবে যোগ দিচ্ছেন ভারতীয় চলচ্চিত্রের বহুখ্যাত আরো অনেকেই। জয়া আখতারও আছেন।
এবার (৬৯ বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে) মূল প্রতিযোগিতায় কিংবা প্যানোরমা বিভাগে ভারতের কোনও ছবি না থাকলেও স্বল্পদৈর্ঘ্য (শটস্), ফোরাম, ‘এই প্রজন্ম’ (জেনারেশন), ‘স্পেশাল স্ক্রিনিং’-এ ভারতীয় ছবির সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। রুচির যোশির বাংলা ছবি ‘টেলস ফ্রম প্লানেট কলকাতা’, আসামের রীতা দাশের ‘বুলবুল ক্যান সিঙ’। রীতেশ বত্রা, নীতিন বৈদ্য, সন্যা মালহোত্রা, অঙ্কুর তিওয়ারির ছবিও। বাংলাদেশ থেকেও ছবি, স্বল্পদৈর্ঘ্য বিভাগে এবং ট্যালেন্ট ক্যাম্পাসে। আছে ভুটান, নেপালের ছবিও। এই দুই দেশ নতুন সংযুক্তি, প্রথমবার।
উৎসবে, মূল প্রতিযোগিতায় মাত্র ১৭ ছবি, গত পাঁচ বছরের তুলনায় কম। আগে ছিল একুশ। উনিশ।
উৎসবের পরিচালক ডিটার কোসলিক বললেন, ‘ভালো ছবি পাইনি, ভালো ছবির আকাল বিশ্বজুড়ে’।
মূল প্রতিযোগিতামূলক ছবির ছয় জুরিকুলের প্রেসিডেন্ট বিশ্বখ্যাত ফরাসি অভিনেত্রী জুলিয়েট বিনোশ, অস্কার বিজয়নী (‘ইংলিশ পেশেন্ট’ ছবির জন্যে)। অবশ্য, আগে পুরস্কার-শিরোপায় উজ্জ্বল। জ্য-লুক গদারের ‘হেইল ম্যারি’ (১৯৮৪) ছবিতে প্রথম অভিনয়।
ছবির ছয় বিচারকের অন্যতম বাংলার রাজেন্দ্র রায় (কলকাতার। আদি নিবাস বাংলাদেশ)।
রাজেন্দ্র বাংলা বাঁ ভারতে খুব পরিচিত নন, ইউরোপ-আমেরিকায় বহুখ্যাত। তিনি নিউ ইয়র্কের ‘মোসা’ (মিউজিয়াম অব মডার্ন আর্ট)-র ফিল্ম ডিভিশনের ‘চিফ কিউরেটর’। ৩০ হাজার ছবির নির্বাচক। ৩০ হাজার থেকে ৩০০ ছবির বাছাইয়ে ৩০-টি ছবির মধ্যে সত্যজিৎ রায়ের ‘পথের পাঁচালী’কে তালিকাভুক্ত করেছেন।
৬৯ বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ভারতের হরেক জৌলুশ, আলিয়া ভাট পয়লা, তাঁকেই গ্লামারাস্ করার কসরৎ উৎসব কর্তৃপক্ষের। কিন্তু মৃণাল সেনই সাংবাদিক সম্মেলনে উল্লেখ্য, স্মরণীয়। ৬৯ বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসব ৭ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি।
লেখক: কবি ও সাংবাদিক