সনজীদা খাতুনের হাতে ‘টেগোর অ্যাওয়ার্ড’ তুলে দিলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী

ভারতীয় রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দের কাছে থেকে পদকটি নিচ্ছেন সনজীদা খাতুন। ছবি- সংগৃহীতকবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশত জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ২০১২ সাল থেকে সবচেয়ে বড় রবীন্দ্রপদক অনুষ্ঠান আয়োজন করে আসছে ভারত সরকার।
যেখানে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থেকে ‘টেগোর অ্যাওয়ার্ড ফর কালচারাল হারমোনি’ নামের পুরস্কার প্রদান করেন।
রবীন্দ্র সৃষ্টির প্রচার ও প্রসারের অনবদ্য অবদান রাখার জন্য প্রথমবারের মতো এ পদক পেলো বাংলাদেশের কোনও সংগঠন। আজ (১৮ ফেব্রুয়ারি) সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছায়ানটের কাছে হস্তান্তর করা হয় এটি। ২০১৫ সালের জন্য এ পদকটি গ্রহণ করেন প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি সনজীদা খাতুন।
বেলা এগারটায় দিল্লির প্রবাসী ভারতীয় কেন্দ্রে ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ মোদি সনজীদা খাতুনের কাছে পদকটি হস্তান্তর করেন।
বিষয়টি নিয়ে প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী কর্মকর্তা অনিন্দ্য রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এ পর্যন্ত পাঁচ বছরের জন্য পদকটি প্রদান করা হয়েছে। ছায়ানটের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো কোনও সংগঠন এ পুরস্কার পেল। পাশাপাশি এ পদকটি বাংলাদেশের জন্যও প্রথমবার।’
জানা যায়, পদকটি গ্রহণ অনুষ্ঠানের জন্য এই মুহূর্তে দিল্লিতে অবস্থান করছেন- ছায়ানটের সভাপতি সনজীদা খাতুন, নির্বাহী সভাপতি ডা. সারওয়ার আলী, সহ-সভাপতি আবুল হাসনাত, সহ-সভাপতি খায়রুল আনাম শাকিল ও সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসা। গত শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) তারা দেশটিতে গেছেন।পদক অনুষ্ঠানের অংশ নিতে গত শনিবার দিল্লি যান ছায়ানটের কর্মকর্তারা। ছবি- ছায়ানট

বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলন ধারক ও সূতিকাগার বলা হয় ছায়ানটকে। ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত ছায়ানট বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্য কর্ম, বাংলা সংস্কৃতি, সংগীত ও সাহিত্য বিশ্বজুড়ে প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। ১৯৬৭ সালে রমনার বটমূলে সংগঠনটি প্রথমবারের মতো বর্ষবরণের আয়োজন করেছিল। যা বাঙালি সাংস্কৃতিক চেতনার প্রতীক ও জাতীয় উৎসবে রূপ নিয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনেও ছায়ানটের ভূমিকা অনন্য। বিশেষত, সাংস্কৃতিক আন্দোলন ও বাঙালি সত্তার প্রতিষ্ঠায় এ সংগঠনটি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।