গল্পটি শুরু হয় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে। যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিতে সেখানে যায় শাহাদাত। তার প্রিয় শিক্ষক ঢাকা থেকে সেদিকে আসছিলেন। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় মেয়েকে নিয়ে একটি উপশহরে আশ্রয় নেন তিনি। এ খবর পেয়ে তাকে দেখতে ছুটে যায় শাহাদাত। ফিরে আসার সময় গঞ্জের পথ ধরে এগোলে আলবদর বাহিনীর সদস্যরা তার পিছু নেয়। জামার ভেতরে লুকানো রাইফেলসহ ধরা পড়বে নিশ্চিত হয়ে যায় সে। এ সময় দূর থেকে শাহাদাতকে দেখে ঢাকা কলেজের সিনিয়র বড় ভাই হিসেবে চিনে ফেলে সজল। সে এগিয়ে গিয়ে নিজের বড় বোনের স্বামী পরিচয় দিয়ে শাহাদাতকে বাঁচায়। কিন্তু আলবদর বাহিনীর সন্দেহ হওয়ায় বাড়ির বাইরে নজর রাখতে শুরু করে।
মুক্তিবাহিনীর সদস্য জেনে সজলের বড় বোন কাজল, বাবা, মা সবাই শাহাদাতকে আশ্রয় দেয়। কয়েকটা দিন কাজলের স্বামীর পরিচয়ে তাকে থাকতে হয় বাড়িতে। আলবদর বাহিনীর সন্দেহ মুছে দিতে তাদের অভিনয় করে যেতে হয়।
শাহাদাত চলে যাওয়ার দিন একই রিকশায় চড়ে তাকে বাসে তুলে দিয়ে আসে কাজল। বাড়িতে ফিরে রাতে জানালায় দাঁড়িয়ে সে কাঁদতে থাকে। মা দেখে ব্যাপারটা বুঝতে পারেন। মায়ের ধারণা, কিন্তু শাহাদাতকে মনের কথা বললে সে যুদ্ধ শেষে ফিরে আসতে পারতো। তখন কাজল হাউমাউ করে কাঁদতে থাকে।
পরিচালক সাইদুর রহমান রাসেলের মন্তব্য, ‘আমরা নাটকের শেষটা এমনভাবে করেছি যে, দর্শক তার নিজের মতো করে একটা ভাবনা দাঁড় করাতে পারবেন। তাদের মনে হতে পারে, শাহাদাতের সঙ্গে পরিবারটির হয়তো দেখা হয়েছে। আবার এমনও হতে পারে, শাহাদাত চলে যাওয়ার পর আলবদর বাহিনী পরিবারটিকে মেরে ফেলেছে।’
আজ মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাত ৯টা ৫ মিনিটে বাংলাভিশনে প্রচার হবে ‘যুদ্ধ দিনের প্রেম’।