আবারও ‘ক্ষমাহীন নৃশংসতা’র প্রদর্শনী

বিশ্বের বিভিন্ন মিডিয়ায় বাংলাদেশিদের ওপর নির্মম অত্যাচারের কথা তুলে ধরেছেন তারা১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান শাসক কর্তৃক বাঙালি নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, গণহত্যা ও লুটপাটের ঘটনা নিয়ে তৈরি করা হয় অনুসন্ধানী প্রামাণ্যচিত্র ‌‘ক্ষমাহীন নৃশংসতা’।
এটি নির্মাণ করেন কানাডা প্রবাসী নির্মাতা ফুয়াদ চৌধুরী।
যেখানে উঠে এসেছে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বৈষম্যমূলক আচরণ, নিপীড়ন, শোষণ, বাঙালি জাতির নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে মিথ্যাচারসহ অনেক অজানা বিষয়।
গত বছরের ২৩ মার্চ প্রামাণ্যচিত্রটির প্রথম প্রদর্শনী হয়েছিল। এরপর চলতি বছরের ২৬ মার্চ এটি সম্প্রচার হয় দীপ্ত টিভিতে। এবার আবারও প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে এটি।
আগামী ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টায় ধানমন্ডি ২৭ নম্বর রোডে অবস্থিত ইএমকে সেন্টারে এর প্রদর্শন হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এর পরিচালক ফুয়াদ চৌধুরী। ৬১ মিনিট ব্যাপ্তির প্রামাণ্যচিত্রটি প্রযোজনা করেছেন আমান উল্লাহ চৌধুরী।
নির্মাতা ফুয়াদ চৌধুরী জানান, এতে প্রত্যক্ষদর্শী বাংলাদেশি ছাড়াও রয়েছেন পাকিস্তানের ৪ ব্যক্তিত্ব, যারা বিভিন্ন সময় বিশ্বের বিভিন্ন মিডিয়ায় বাংলাদেশিদের ওপর নির্মম অত্যাচারের কথা তুলে ধরেছেন।
তারা হলেন রওশন জামির (১৯৭১ সালে যশোর জেলার পাকিস্তানি প্রশাসক, পরবর্তী সময়ে পাকিস্তান সরকারের ফেডারেল সেক্রেটারি হিসাবে অবসর নেন), সাংবাদিক তারেক খান (১৯৭১ সালে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে শেষ কার্গো দিয়ে পাকিস্তানে ফেরত যান), মোয়াজ্জেম খান (১৯৭১ সালে স্কুল পড়ুয়া কিশোর মোয়াজ্জেম খান, বাবা ছিলেন পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, সে কারণেই জেনারেল নিয়াজির প্রতিবেশী ছিলেন ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে) এবং লেখক ও কলামিস্ট তারেক ফাতাহ।