সাড়া দিচ্ছেন এটিএম শামসুজ্জামান

এটিএম শামসুজ্জামানমঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকাল থেকে রাজধানীর গেণ্ডারিয়ার আজগর আলী হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে আছেন কিংবদন্তি অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান। তবে আজ (১ মে) সকাল থেকে তিনি চিকিৎসকদের কথায় নিয়মিত সাড়া দিচ্ছেন।
আজ (১ মে) বেলা তিনটার দিকে বাংলা ট্রিবিউনকে এমন তথ্য জানান অভিনেতার মেয়ে কোয়েল আহমেদ।
কোয়েল বলেন, ‘বাবার ফুসফুস সংক্রমিত হয়েছে। পাশাপাশি তার নিউমোনিয়াও হয়েছে। তাই চিকিৎসকরা তার ফুসফুসকে সাপোর্ট দেওয়ায় ব্যবস্থা করেছেন। এছাড়া তাকে ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে। তবে তিনি নিয়মিত রেসপন্স করছেন।’
লাইফ সাপোর্টের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘লাইফ সাপোর্ট বোঝাতে যেভাবে মিডিয়ায় এসেছে, এটি তেমন নয়। তিনি এখন বেশ ভালো আছেন। শুধু ফুসফুস সংক্রমিত হয়েছে। যেন এটার ওপর চাপ না পড়ে বা আরও সংক্রমিত না হয় তাই ফুসফুসে সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে।’
কিংবদন্তি এ অভিনেতাকে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দিবাগত রাতে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একই হাসপাতালে ২৭ এপ্রিল এই অভিনেতার শরীরে অস্ত্রোপচার হয়েছে।
অস্ত্রোপচারের কারণ প্রসঙ্গে অভিনেতার ছেলের স্ত্রী রুবি জামান বলেছিলেন, ‘দীর্ঘদিন উনার (এটিএম শামসুজ্জামান) পেটে খাবার জমা হয়ে শক্ত হয়ে যেত। চিকিৎসকরা বিষয়টি প্রথম দিকে ধরতে পারেননি। ২৬ এপ্রিল রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকরা অসুস্থতার কারণটি ধরতে পারেন। তাই অস্ত্রোপচার করে এগুলো বের করা হয়েছে।’
৮৮ বছর বয়সী এ অভিনেতা অধ্যাপক ডা. রাকিব উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এটিএম শামসুজ্জামানের চলচ্চিত্র জীবনের শুরু ১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে। প্রথম কাহিনি ও চিত্রনাট্যকার হিসেবে কাজ করেছেন ‘জলছবি’ ছবিতে। এ পর্যন্ত শতাধিক চিত্রনাট্য ও কাহিনি লিখেছেন। প্রথম দিকে কৌতুক অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন তিনি।
অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র পর্দায় আগমন ১৯৬৫ সালের দিকে। ১৯৭৬ সালে চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ ছবিতে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে আলোচনায় আসেন তিনি। নাটক ও চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য আজও তিনি দর্শকের কাছে নন্দিত।