‘রিল হান্ট’ বিজয়ী চলচ্চিত্র ‘প্রতিশোধ’

‘রিল হান্ট’ আয়োজকদের সঙ্গে বিজয়ীরাগ্রামীণফোনের আয়োজনে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতা ‘রিল হান্ট’। ২ মে জিপি হাউজে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দলের মধ্যে নোয়া: দ্য স্কাই অব হোপ-এর ‘প্রতিশোধ’ চলচ্চিত্রটি প্রথম পুরস্কার জিতে নেয়। উৎসবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করে যথাক্রমে থ্রি ফিল্মসের ‘আগন্তুক’ এবং অঙ্কুর ক্রিয়েশনের ‘সাহেব বিবি’।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। অতিথিদের মাঝে আরও উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা ইরেশ যাকের ও নির্মাতা আশফাক নিপুণ।
সম্ভাবনাময় চলচ্চিত্র নির্মাতাদের কাজ দর্শকদের সামনে তুলে ধরার সুযোগ করে দিতে এবং দেশবরেণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতাদের কাছ থেকে সরাসরি প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে তরুণ নির্মাতাদের দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ করে দেয়ার লক্ষ্যেই ‘রিল হান্ট’ শিরোনামে এই উদ্যোগ গ্রহণ করে গ্রামীণফোনের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘হোয়াইটবোর্ড’।
প্রতিযোগিতার শুরুতে দল নিবন্ধনের জন্য বরাদ্দ ১০ দিন সময়সীমার মাঝেই ৬৭৪টি দল তাদের অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেওয়ার মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। কঠিন বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বেছে নেওয়া হয় ‘বায়োস্কোপ’ প্ল্যাটফর্মের উপযোগী ৩৫টি কন্টেন্ট।
নির্বাচিত দলগুলোকে ২০ এপ্রিল দিনব্যাপী আয়োজিত চলচ্চিত্র নির্মাণ বিষয়ক বুট-ক্যাম্পে যোগদানের জন্যে আহ্বান জানানো হয়। এতে প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চিত্রনাট্যকার গাউসুল আলম শাওন, নির্মাতা আশফাক নিপুণ ও রাহাত রহমান।
নির্বাচিত ৩৫ জন অংশগ্রহণকারী ছাড়াও তাদের পুরো দলকেই বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এই বুট-ক্যাম্পে। প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের অংশ হিসেবে ২৯ ও ৩০ এপ্রিল সব দল তাদের নির্মিত চলচ্চিত্র বিচারকদের সামনে উপস্থাপন করে।
এই আয়োজন প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘‘বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক মূল্যবোধকে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেয়ার প্রত্যয়ে দেশের বিনোদন শিল্পে স্থান করে নিচ্ছে নতুন প্রতিভাসম্পন্ন নির্মাতারা। ‘রিল হান্ট’-এর মতো একটি প্ল্যাটফর্ম নতুন নির্মাতাদের বেড়ে উঠতে সহায়তা করার পাশাপাশি সামগ্রিকভাবে পুরো ইন্ডাস্ট্রিকেই ধাবিত করবে এক নতুন ভবিষ্যতের দিকে।”
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী মাইকেল ফোলি বলেন, ‘‘দেশের প্রতিটি খাতে স্থানীয় তরুণ প্রতিভারা শুধুমাত্র জাতীয় পর্যায়েই সুনাম অর্জন করছে না, বরং বিশ্বমঞ্চেও আলো ছড়াচ্ছে। গ্রামীণফোন আন্তরিকতার সাথে এই তরুণদের মধ্য থেকে তাদের সেরাটা বের করে আনতে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান এবং তাদের কাজকে প্রচার করতে সহায়তা করে। ‘রিল হান্ট’ এমনই এক উদ্যোগ, যার মাধ্যমে দেশের সেরা সম্ভাবনাময় চলচ্চিত্র নির্মাতাদের খুঁজে বের করবে। আমি বিজয়ীদের পাশাপাশি সকল অংশগ্রহণকারীর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।”
প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জনকারী দল পুরস্কার হিসেবে পেয়েছে ১ লাখ টাকা এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারী দল পেয়েছে যথাক্রমে ৭৫ হাজার ও ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া বিজয়ী তিনটি দলের চলচ্চিত্র প্রচার করবে জনপ্রিয় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ‘বায়োস্কোপ’।