যেখানে তিনি দানিয়েলের জবানিতে তুলে ধরেছেন নিজেকে আর প্রেমিকারূপে হাজির করেছেন তায়েবাকে। ১৯৮৫ সালে প্রকাশিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সেই উপন্যাস এবার রূপ নিচ্ছে চলচ্চিত্রে। আর তাতে প্রেমিকা তায়েবা চরিত্রে হাজির হচ্ছেন দুই বাংলার অন্যতম অভিনেত্রী জয়া আহসান।
৬০ লাখ টাকা সরকারি অনুদান নিয়ে বিশেষ এই পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করছেন হাবিবুর রহমান। গত ২২ জুন থেকে এর শুটিং শুরু হয়েছে, এরমধ্যে শেষ হয়েছে জয়া আহসানের পুরো কাজ।
নির্মাতা হাবিবুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, পুরো ছবিটি শুটিং হয়েছে থ্রিডি ক্যামেরায় ভারতীয় একটি প্রতিষ্ঠানের কারিগরি সহায়তা নিয়ে। এরমধ্যে জয়া আহসানের ব্যস্ততার কারণে তার অংশের পুরোটাই শেষ করা হয়েছে একসঙ্গে, এক লটে।
হাবিবুর রহমান বলেন, ‘এটি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের তথা বাংলা ভাষায় নির্মিত প্রথম থ্রিডি চলচ্চিত্র। যার জন্য কাজটির শুটিং প্রায় শেষ হলেও, সম্পাদনার টেবিলে সময় লাগবে। তাছাড়া এতে বাজেটও একটি বড় বিষয়। কারণ, অনুদানের টাকা তো একসঙ্গে পাওয়া যায় না। কিন্তু কাজটাও শেষ করতে হবে। এটাও সত্যি অনুদানের বাইরে আমার আর কোনও প্রযোজক নেই। তাই কষ্ট হলেও আমার ইচ্ছা ডিসেম্বরের মধ্যে ছবিটি সবাইকে দেখানোর।’
মুক্তিযুদ্ধের সময় কলকাতায় শরণার্থী হিসেবে আশ্রিত বাংলাদেশী লেখক দানিয়েল ও ক্যানসারে আক্রান্ত প্রগতিশীল নারী তায়েবার মধ্যকার অস্ফুট ভালবাসা, মানসিক টানাপোড়েন, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন গোষ্ঠীর দৃষ্টিভঙ্গি চিত্রায়িত হয়েছে ‘অলাতচক্র’ চলচ্চিত্রে।
এদিকে চলচ্চিত্রটি প্রসঙ্গে জয়া আহসান এখনই মুখ খুলতে নারাজ। একইভাবে এর নির্মাতা হাবিবুর রহমানও এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে প্রস্তুত নন।
তার ভাষায়, ‘আমরা আসলে কাজটাকে সিরিয়াসলি নিয়েছি। পুরোটা শেষ করার পরই বিস্তারিত বলতে চাই।’