ঢাকায় ‘মীনালাপ’

নির্মাতা ও ‘মীনালাপ’ চলচ্চিত্রটির একটি দৃশ্য

ব্যতিক্রমী এক গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বাংলাদেশি নির্মাতা সুবর্ণা সেঁজুতি টুসির স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‌‘মীনালাপ’।
ইউরেশিয়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে গ্র্যান্ডপিক্স পুরস্কারসহ বিশ্বের বিভিন্ন আয়োজনে প্রশংসিত হয়েছে এটি। ছবিটি এবার ধানমন্ডির গ্যেটে ইনস্টিটিউটে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

২৫ আগস্ট বিকাল ৫টায় বিশেষ এ প্রদর্শনী হবে। এটি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ইনিশিয়েটিভ বাংলাদেশের ‌(আইএফআইবি) ‘থ্রু হার আইস’-এর অংশ হিসেবে প্রদর্শন করা হচ্ছে। এই আয়োজনে নারী নির্মাতাদের চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
এদিকে ‘মীনালাপ’ ঢাকায় এর আগে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে প্রদর্শিত হয়েছিল। এবারও সেখানকার মতোই গ্যেটে ইনস্টিটিউটে প্রদর্শনী শেষে থাকবে নির্মাতার সঙ্গে দর্শকের প্রশ্ন-উত্তর পর্ব।

পশ্চিমবঙ্গের একটি প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে পুনে শহরে আসা গার্মেন্টসে কর্মরত এক বাঙালি দম্পতির অনাগত সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগ মুহূর্তগুলো ‘মীনালাপ’-এ উঠে এসেছে। তবে তা একটু অন্যভাবে। আর এটি ছিল চমকপ্রদ।

সুবর্ণা সেঁজুতি টুসি বলেন, ‘ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ায় চলচ্চিত্র নির্মাণ ও চিত্রনাট্য রচনার ওপর আমি একটি ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্ন করেছিলাম। তখনই তাদের তত্ত্বাবধানে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করা। এটির এমন সাফল্যে আমি নিজেও বেশ চমকিত।'
২৮ মিনিট দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র ‘মীনালাপ’-এর কাহিনিটি শহুরে নিঃসঙ্গ জীবনের মুহূর্তগুলো নিয়ে। ছবিটির প্রধান চরিত্রগুলোতে আছেন তিতাস দত্ত, প্রমিত দত্ত, বিবেক কুমার ও দেভাস দীক্ষিত।

‘মীনালাপ’ ইতোমধ্যে তাজিকিস্তান, ভারতের কলকাতা, শিলিগুড়ি ও মুম্বাই, আর্মেনিয়া, নেপাল, দুবাই, মিসরের বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসব থেকে পুরস্কার পেয়েছে।