প্রয়াত কথাসাহিত্যিক শহীদুল জহিরের ছোটগল্প ‘কাঁটা’ অবলম্বনে ছবিটি নির্মাণের জন্য ২০১২-১৩ অর্থবছরে কবি টোকন ঠাকুরকে অনুদান দেয় বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়।
কিন্তু কেন এই দীর্ঘ বিলম্ব? নির্মাতার ব্যাখ্যা এমন, ‘ছবিটিতে দেখানোর চেষ্টা করেছি ইতিহাসের তিনটি সময়। ১৯৮৯-৯০, ১৯৭১ ও ১৯৬৪ সালের তিনটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো কাহিনি আবর্তিত হয়েছে। শুটিংয়ের আগে অডিশন করে নেওয়া হয়েছে প্রায় দুইশ পাত্র-পাত্রী, যাদের বেশিরভাগই থিয়েটার কর্মী। অডিশনের পর প্রায় ছয় মাস ধরে টানা রিহার্সেল করা হয়েছিল। এটা একটা পিরওডিক্যাল ফিল্ম। ফলে কাজটি প্রপারলি করার জন্য একটু সময় তো লাগবেই।’
টোকন ঠাকুরের চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় এ ছবির ৯০ শতাংশ শুটিং হয়েছে নারিন্দা, ফরাশগঞ্জ, সূত্রাপুর, ফরিদাবাদসহ পুরনো ঢাকার নানা এলাকায়। এছাড়াও ঢাকার বাইরে মুন্সীগঞ্জের পদ্মা নদী ও নরসিংদীতে হয়েছে বাকিটা শুটিং।
ছবিটির বেশিরভাগ চরিত্র গড়ে তুলেছেন নতুনদের নিয়ে। এর কারণ হিসেবে টোকন ঠাকুরের ভাষ্য এমন, ‘এ ধরনের একটি ইতিহাসভিত্তিক ছবির জন্যে বাজারের প্রচলিত মুখের চেয়ে নবাগতরাই বেশি ফলদায়ক বলে আমি বিশ্বাস করেছি। তাই নতুনদেরই প্রাধান্য দিয়েছি।’
‘কাঁটা’র মূল চরিত্র প্রসঙ্গে টোকন ঠাকুর বলেন, ‘‘কাঁটা’ গল্পের লিড প্রটাগনিস্ট শ্রী সুবোধচন্দ্র দাস। সুবোধ। আমরা দেখলাম, ২০১৬ সালের অন্তিমে এসে বা ২০১৭ সালজুড়েই ঢাকার রাস্তার দেয়ালে এক গ্রাফিতিচিত্র, ‘সুবোধ তুই পালিয়ে যা, সময় এখন পক্ষে না।’ গণমানুষ সুবোধের গ্রাফিতিচিত্রের সঙ্গে পরিচিত হয়ে গেল, আমার শহীদুল জহিরকে মনে পড়লো। সেই শহীদুল জহির, সেই সুবোধকে মানুষ এবার দেখবে সিনেমায়। আপাতত এইটুকুই...।’’
ছবিটি আগামী শীতেই দর্শকদের সামনে আসবে বলে জানান টোকন ঠাকুর।